Connect with us

জাতীয়

ডেন্টাল সার্জন অবসরে, কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে চিকিৎসা দিচ্ছে টেকনিশিয়ান

Published

on

দাঁতের চিকিৎসার আধুনিক সব যন্ত্রপাতি, সুসজ্জিত কক্ষ, টেবিল, চেয়ার- সবই আছে; নেই শুধু দন্ত চিকিৎসক। তবে থেমে নেই ডেন্টাল ইউনিটের চিকিৎসাসেবা। দন্ত চিকিৎসকের অবসরের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ওই চেয়ারে দিব্যি বসে গেছেন টেকনিশিয়ান সারমীন সুলতানা। তিনি দীর্ঘ তিন মাস নিয়মিত রোগীর দাঁত দেখছেন, লিখছেন ব্যবস্থাপত্রও! খোদ রাজধানীতেই ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে চলছে এমন কাণ্ড।

এই হাসপাতালে টানা দু’দিন সরেজমিন দেখা যায়, টেকনিশিয়ান সারমীন সুলতানা দন্ত চিকিৎসকের চেয়ারে বসে রোগী দেখছেন। রোগীর দাঁত দেখে ব্যবস্থাপত্রও লিখে দিচ্ছেন। রোগীরা না জেনে তাঁর কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে তুলছেন ‘তৃপ্তির ঢেকুর’। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনে ১০ থেকে ১৫ জনের মতো রোগী দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। টেকনিশিয়ান হয়ে কীভাবে এমন চিকিৎসা দিচ্ছেন- জানতে চাইলে সারমীন জানান, কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিয়েই এই কাজ করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে হাসপাতালটির পরিচালক আম্মতে নূর ওয়াহিদা সুলতানা বলেন, তিন মাস হয়েছে দন্ত চিকিৎসক অবসরে গেছেন।

নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সাময়িক সময়ের জন্য সারমীনকে দন্ত চিকিৎসকের চেয়ারে বসানো হয়েছে। দাঁত ব্যথাসহ কয়েকটি চিকিৎসা তিনি দিচ্ছেন। তবে দাঁতের জটিল কোনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন পরিচালক।

গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ভর্তি ও বহির্বিভাগে মিলছে না প্রয়োজনীয় সব ওষুধ। সেবা নিতে এসে রোগীদের ফিরতে হচ্ছে একরকম ওষুধ ছাড়াই। চিকিৎসক দেখিয়ে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ফার্মেসিতে গেলে অধিকাংশ রোগীকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও নাপা সিরাপ দিয়ে অন্য ওষুধ নেই বলা হচ্ছে। হাসপাতালটিতে সরকারি ওষুধ-ইনজেকশন বণ্টনে নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলেন, যে ওষুধের কম দাম, সেটি এখান থেকে দেওয়া হচ্ছে, দামি ওষুধ কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। সাত দিনের ওষুধ লিখে দিলেও মেলে দু’দিনের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অর্থবছরে একবার দেওয়া হয় ওষুধ। শেষ হয়ে গেলে নতুন ওষুধ পেতে বাজেট সংশোধন করে আবেদন করতে হয়। সেটিও পেতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যায়।

এ ছাড়া হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ২২ বছরেও পূর্ণাঙ্গ সেবা এখনও চালু করা যায়নি। এখানে ‘নেই’ তালিকাটাও বেশ লম্বা। গাইনি ও প্রসূতি, মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগ ছাড়া বন্ধ অন্তঃবিভাগের অন্য সব সেবা। এ কারণে তিন তলার ১৫০ শয্যা হাসপাতালটিতে সোমবার রোগী ভর্তি ছিল মাত্র ৩২ জন। ১০ শয্যার এসি ও নন-এসি কেবিন থাকলেও রোগী থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। বন্ধ ব্লাড ব্যাংক। নেই এমআরই মেশিন, সিটি স্ক্যান। এক্স-রে মেশিনও অচল। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা বেশির ভাগই করা হচ্ছে আশপাশে গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এদিকে জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার সকাল ৮টায় অফিস চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও অর্ধেকের বেশি চিকিৎসক দেরিতে হাসপাতালে আসার অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্নিষ্টরা বলছেন, রাজধানীর পুরান ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৮৯ সালে শ্রমজীবী হাসপাতাল নামে চিকিৎসাকেন্দ্রটি চালু হয়। পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে ১৫০ শয্যার এই চিকিৎসাকেন্দ্রটির নাম বদলে করা হয় ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল। শয্যা সংখ্যার বিপরীতে এখন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মচারী মিলে রয়েছে ১৬৬ পদ। তবে এর ৬০ শতাংশই খালি। জনবল চেয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেনের কাছে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া মিলছে না।

মেডিকেল অফিসারের ১৯টি পদ থাকলেও চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন ১২ জন। স্টাফ নার্স ৩১ জনের বিপরীতে রয়েছেন আটজন। হাসপাতাল চালুর পর নতুন করে নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি। নার্সিং এইড ১০ পদ থাকলেও সেবা দিচ্ছেন মাত্র একজন। প্রতিনিয়ত চিকিৎসকরা অবসরে গেলেও নতুন করে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গত রোববার সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নিচ তলায় মেডিসিন, গাইনি ও প্রসূতি, প্যাথলজি, চর্ম ও যৌন, দন্ত এবং নাক, কান ও গলা বিভাগের সামনে অপেক্ষা করছেন ২০ থেকে ২৫ রোগী। তবে বেশির ভাগ চিকিৎসককে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গেছে। হাসপাতালে মাত্র একজন সার্জারি চিকিৎসক। তিনি সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতালে এসে অস্ত্রোপচার করতে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকেন। এদিকে বহির্বিভাগে তাঁর কক্ষের সামনে ১০ থেকে ১৫ জন রোগীকে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে অনেকেই সেবা না নিয়ে ঘরে ফেরেন।

সাড়ে ৮টার দিকে বকুল নামের এক রোগীকে বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বের হতে দেখা যায়। চিকিৎসক ৬ ধরনের ওষুধ লিখছেন ব্যবস্থাপত্রে। হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে শুধু প্যারাসিটামল দিয়ে বিদায় করা হয়। তিন দিন জ্বরে ভুগছেন আলী আজগর। সেবা নিতে এসেছেন এই হাসপাতালে। ডাক্তার চারটি ওষুধ লিখলেও তাঁকে একটি ওষুধ দেওয়া হয়। হাসপাতালটির ফার্মেসির সামনে ১ ঘণ্টা অবস্থান করে এমন একাধিক অনিয়ম চোখে পড়ে।

জানতে চাইলে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট বলেন, ওষুধের সংকট রয়েছে। রোগীর ব্যবস্থাপত্রে যেসব ওষুধ লেখা হচ্ছে, সবগুলো নেই। সিটি করপোরেশনকে অনেকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও ওষুধ আসেনি।

এদিকে হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ২০২০ সালের অক্টোবরে পাঁচটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছিল। গত বছর এপ্রিলে ১৫টি হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) স্থাপন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে আইসিইউ ও এইচডিইউ এখনও চালু করা যায়নি। জনবল সংকট থাকায় আইসিইউ ও এইচডিইউ সরিয়ে নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়। গত মাসেও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক আম্মতে নূর ওয়াহিদা সুলতানা বলেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ সংকট আগামী মাস থেকে আর থাকবে না। চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সিটি মেয়র এ বিষয়ে অনেক আন্তরিক। আশা করি, জনবল সংকট দুই-এক মাসের মধ্যে কেটে যাবে।

Advertisement
Click to comment

ক্যারিয়ার

জনস্বাস্থ্য ডেন্টিস্ট্রি বিভাগে পদসৃজন -(নিপসম)

Published

on

জনস্বাস্থ্য ডেন্টিস্ট্রি বিভাগে পদসৃজনঃ

ডেন্টাল পাবলিক হেলথ বিডিএস কারিকুলামে অন্তর্ভূক্ত থাকলেও জাতীয় পর্যায়ে গবেষণা ও বিশেষজ্ঞ তৈরীর ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বহুকালব্যাপী অবহেলিত অবস্থায় ছিল।

এর অবসান ঘটিয়ে ১৭ ই জুলাই ২০২২ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ একটি জিও(সরকারী আদেশ) প্রকাশ করে যেখানে “জনস্বাস্থ্য ডেন্টিস্ট্রি” বিভাগ এবং সেই বিভাগে “সহকারী অধ্যাপক” ও “প্রভাষক” এর পদসৃজন এর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ এর অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব জনাব হুমায়ূন কবীর বুলবুল ডেন্টাল টাইমসকে জানান – “বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির অংগীকার ও প্রতিশ্রুতি ছিল ডেন্টাল পাবলিক হেলথ বিষয়টিকে নিপসমে ডিপার্টমেন্ট হিসাবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় গবেষণায় অন্তর্ভূক্ত করা৷ এরই অংশ হিসেবে আমরা নিপসম এর সম্মানিত পরিচালক অধ্যাপক (ডাঃ) বায়েজীদ খুরশীদ রিয়াজের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে কোর্স কারিকুলামের প্রস্তাবনাও প্রদান করি৷ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অবশেষে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও বিভাগ (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় এর সম্মতিতে জনস্বাস্থ্য ডেন্টিস্ট্রির পদসৃজন হয়েছে।

আমি মনে করি আমাদের ডেন্টাল সার্জনদের জন্যে বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আপাতত ডেন্টাল পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট চালু হলেও ভবিষ্যতে প্রস্তাবিত নিপসম বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়িত হলে ডেন্টাল পাবলিক হেলথ একটি অনুষদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাবে বলে পরিচালক মহোদয় আমাদের আশাবাদ প্রদান করেছেনএবং তাতে খুলে যাবে ডেন্টাল প্রফেশনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার৷ “

উল্লেখ্য, নিপসমে বর্তমানে ৯ টি বিষয়ে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ কোর্সটি চলমান রয়েছে৷ যেগুলো হলো –
১) Health Service Management & Policy
২) Hospital Management
৩) Community Medicine
৪) Epidemiology
৫) Reproductive & Child Health
৬) Health Promotion & Health Education
৭) Reproductive & Child Health
৮) Occupational & Environmental health.
৯) Non-Communicable Disease

এছাড়াও অধ্যাপক ডাঃ হুমায়ূন কবীর বুলবুল ডেন্টাল টাইমসকে জানান, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ সহ সরকারী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহেও ইতিপূর্বে আমরা ডেন্টাল পাবলিক হেলথ বিভাগের পদসৃজন করেছি।

Continue Reading

জাতীয়

দাউদকান্দিতে অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের রমরমা বাণিজ্য

Published

on

স্বাস্থ্যবিভাগের অনুমোদন ছাড়াই কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও ফিজিওথেরাপি সেন্টার এবং ডেন্টাল কেয়ার। বৈধভাবে যেসব হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে, তাতেও স্বাস্থ্যবিভাগের নিয়মনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না, রয়েছে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব। সেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে।

স্বাস্থ্যবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন বছরে দুই থেকে তিনবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে। তবে পরবর্তিতে মনিটরিং না থাকায় দিব্যি চলতে থাকে অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বাণিজ্য। এদের হাতে একপ্রকার জিম্মি হয়ে রোগীরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত ও সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।

সূত্র জানায়, হাতে গোনা কয়েকটির সরকারি অনুমোদন (লাইসেন্স) থাকলেও অধিকাংশ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া চলছে।

জানা যায়, চলতি বছরের মে মাসে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু তা বাস্তবায়নের তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। চার-পাঁচটি অভিযান চললেও প্রায় অর্ধশত অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও ডেন্টাল কেয়ারে কোনো অভিযান হয়নি। যারা বৈধভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন, তারা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

উপজেলায় প্রায় ৯০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক, ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তালিকায় আছে ৬৭টি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তালিকা অনুযায়ী ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আছে। এর মধ্যে হালনাগাদকৃত লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ২১। কোনো কাগজপত্র নেই ১৯টি প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া, তালিকার বাইরে ২৩টি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে কোনো তথ্য নেই।

দুবারের অভিযানে দাউদকান্দিতে আটটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। ইতোমধ্যে এর কয়েকটি আবারো সক্রিয় হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘কাগজপত্র না থাকায় আমরা (প্রতিষ্ঠানগুলো) বন্ধ করে দিয়ে এসেছি, এখন চলছে কিনা জানি না।’

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ফার্মেসিতে অবৈধভাবে হাতুড়ে ডাক্তাদের অপচিকিৎসায় প্রতারিত হচ্ছেন দরিদ্র রোগীরা। উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের উভয় পাশে প্রায় অর্ধশতাধিক হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। দাউদকান্দি বাজার, গৌরীপুর বাজার, গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ বাজার, মলয় বাজার, ইলিয়টগঞ্জ বাজার, গোয়ালমারী বাজারসহ পুরো উপজেলায় এ রকম অজস্র প্রতিষ্ঠান দেখা যায়।

ভুল চিকিৎসা ও অনিয়মের অভিযোগ সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ সার্জারি, গাইনি, অ্যানেসথেসিস্ট ডাক্তার না থাকায় ভুল চিকিৎসার কারণে প্রায়ই মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে, গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খাদিজা আক্তার নামে এক প্রসূতির জমজ শিশু হলেও একটি সন্তান পেটে রেখেই সেলাই করে দেন হাসপাতালের ডাক্তার। এ ঘটনাটি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। আবার প্রসূতি ভর্তি হয়ে আট ঘণ্টা চিকিৎসা না পেয়ে মৃত সন্তান প্রসবের অভিযোগ রয়েছে দাউদকান্দি পৌরসদরের এলহাম হাসপাতালের নামে। গৌরীপুর খিদমা হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের, রংধনু হসপিটালে প্রসূতির এবং দাউদকান্দি পৌরসদরের এলহাম ও ফ্যামিলি হাসপাতালে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদন নেওয়ার সময় কাগজে-কলমে ডাক্তার, ডিপ্লোমাধারী প্যাথলজিস্ট দেখায়। অনুমোদন পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালালে আবেদনের সময় দেওয়া তথ্যের সাথে মিল পাওয়া যায় না।’

বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০ শয্যার অনুমোদন নিয়ে রাখা হয় ১৫ শয্যা। হাতুড়ে নার্সদের দিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। রোগ নির্ণয়ের জন্য মানসম্মত যন্ত্রপাতি বা ল্যাব টেকনোলজিস্ট নেই। সার্বক্ষণিক এমবিবিএস ডাক্তারের বদলে থাকেন ম্যানেজার ও মালিক। পার্টটাইম ডাক্তাররা জটিল অস্ত্রোপচারসহ অন্যান্য চিকিৎসা করছেন।

দাউদকান্দি নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক পরিবেশবিদ মতিন সৈকত বলেন, ‘অর্থলোভীরা এসব ক্লিনিকে অপচিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ক্লিনিকগুলোতে স্থায়ী চিকিৎসক ও নার্স নেই। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন এসব ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও তা মানসম্মত নয়। রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা নেই জেনেও টাকার লোভে ভর্তি করা হয়।’

বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘যাদের বৈধ কাগজপত্র আছে তাদেরকেই সমিতির সদস্য করা হয়েছে। এখানে সর্বাধিক ২৫/৩০টির মতো বৈধ (প্রতিষ্ঠান), বাকিগুলো কীভাবে চলে জানি না। দাউদকান্দির মতো গা-ছাড়া মনোভাব কোথাও দেখিনি। প্রতি বছরই এখানে কোনো কোনো হাসপাতালে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হই।’

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘দাউদকান্দিতে অনেক অবৈধ হাসপাতাল রয়েছে। সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছুদিন পর খবর আসে, তারা আবার চালু হয়েছে।’ এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ পর্যন্ত চলা অভিযানে দাউদকান্দিতে আটটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং ছয়টিকে জরিমানা করা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। এর মধ্যে অবৈধ কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। প্রথমে যাদের লাইসেন্স নেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ওমর ফারুক মিয়াজী, দাউদকান্দি (কুমিল্লা)

Continue Reading

জাতীয়

৭ ছাত্র নিরুদ্দেশ: চিকিৎসক শাকিরের সহযোগী ভিলার স্বীকারোক্তি

Published

on

কুমিল্লা থেকে সাত কলেজছাত্রের ‘নিরুদ্দেশ’ থাকার ঘটনায় চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালীর সহযোগী আবরারুল হক ভিলা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রহমান ছিদ্দিকী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রামপুরা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড চলাকালীন আসামি ভিলা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক এস এম মিজানুর রহমান ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর রামপুরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান মামলা করেন। পরদিন (১৪ সেপ্টেম্বর) শাকির ও ভিলার পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

জানা যায়, কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে যাওয়া কুমিল্লার সাত তরুণের সহযোগী শাকির। তিনি নানাভাবে তরুণ-যুবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জঙ্গি সংগঠনটির জন্য সদস্য সংগ্রহ, সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কথিত হিজরতে যেতে সহায়তা করতেন।

Continue Reading

জাতীয়

সংস্থা বলছে জঙ্গি – পরিবারের দাবি ডাঃ শাকির নির্দোষ

Published

on

রাজধানীর রামপুরা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয়ে তুলে নেওয়া সদ্য এমবিবিএস পাস করা শাকির বিন ওয়ালী নির্দোষ বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তাদের বক্তব্য, শাকিরকে বেআইনিভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি আড়াল করার জন্য তার বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হচ্ছে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে শাকিরের পরিবারের সদস্যরা এসব দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. শাকিরের বাবা চিকিৎসক এ কে এম ওয়ালী উল্লাহ বলেন, আমার ছেলে শাকির বিন ওয়ালীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর আজ (বুধবার) চতুর্থ দিন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি, তাকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তিনি বলেন, দেশবাসী বিগত দিনের ঘটনা প্রবাহ থেকে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন, এভাবে যাদেরকে উঠিয়ে নেওয়া হয় তাদের ব্যাপারে কী ধরনের হাস্যকর ও অবিশ্বাস্য অভিযোগ সাজানো হয়। 

তিনি আরও বলেন, শাকিরকে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেব। আইনের মাধ্যমেই প্রমাণ করব আমার ছেলে নির্দোষ। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শাকিরের স্ত্রী আয়শা বিনতে মুস্তাফিজ ও ছোট বোন লাবিবা বিনতে ওয়ালী।

শাকিরের বাবা এ কে এম ওয়ালীউল্লাহ জানান, গত রোববার দুপুর ৩টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে সাদা পোশাকে চারজন আমার ছেলেকে নিয়ে যান। এ সময় তারা সিআইডির লোক বলে পরিচয় দেন।

তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে রামপুরা থানায় গেলে পুলিশ সেটি নেয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, থানা থেকে বলা হয়, পুলিশ কিছুই জানে না। তারা জিডি নেয়নি, তবে নোট নিয়েছে।

এদিকে চিকিৎসক শাকিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। সংস্থাটি বলছে, শাকির নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। 

Continue Reading

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রম কেউ ঠেকাতে পারবে না – স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাগানের সব ফুল কেটে ফেলা যায় কিন্তু বসন্ত ঠেকানো যায় না। ঠিক একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রমও কেউ ঠেকাতে পারবে না।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে হাসপাতালটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএসএমএমইউয়ের সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালের উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় আর একটি মাইলফলক যুক্ত হলো। এ হাসপাতালের মাধ্যমে দেশে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। সব ধরনের জটিল চিকিৎসাসেবা এ হাসপাতালে দেওয়া হবে। রোগীদের আর বিদেশ যেতে হবে না।

জাহিদ মালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাস্থ্যসেবার সব দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনি মাত্র তিন বছর সরকার পরিচালনার সময়ে বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) স্থাপন করেছেন, বিসিপিএস (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস), বঙ্গ হাসপাতাল, পরিবার পরিকল্পনা, স্যার সলিমুল্লাহ হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতে অনেক উন্নয়ন সাধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী আজ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। সেখানে ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষত মা ও শিশুরা সেখানে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। এর মাধ্যমে মা ও শিশুর মৃত্যুহারও কমছে।

তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে করোনায় আমাদের দেশে মৃত্যু নেই বললেই চলে। করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম স্থান ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান লাভ করেছে। করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমে প্রায় ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। করোনার সময়ে সবাই যখন সমালোচনা করছিল তখন প্রধানমন্ত্রী শক্তির স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল অসংক্রামক রোগের চিকিৎসায় বড় ভূমিকা রাখবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক ব্যাধি যেমন- ক্যান্সার, কিডনি, হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসের কারণে প্রায় ৬৭ শতাংশ মৃত্যু ঘটে থাকে। এ হাসপাতালটি অসংক্রামক রোগের উচ্চতর চিকিৎসা দিতে পারবে। আমরা আশা করি এ হাসপাতালের মাধ্যমে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার হার কমবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

Continue Reading
ক্যারিয়ার18 hours ago

জনস্বাস্থ্য ডেন্টিস্ট্রি বিভাগে পদসৃজন -(নিপসম)

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়4 days ago

অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়ক হবে লাল, যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে হচ্ছে আইন

জাতীয়6 days ago

দাউদকান্দিতে অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের রমরমা বাণিজ্য

জাতীয়3 weeks ago

৭ ছাত্র নিরুদ্দেশ: চিকিৎসক শাকিরের সহযোগী ভিলার স্বীকারোক্তি

সিলেট বিভাগ3 weeks ago

চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের হুমকি দিয়ে ডেন্টাল চেম্বারে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি!

সংগঠন3 weeks ago

ডা: মোত্তাকিন আহমেদ স্মরণে বিএসপিডি’র দোয়া মাহফিল

সংগঠন3 weeks ago

চিকিৎসকদের জন্য লিডারশীপ এক্সেলেন্সি শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কলাম3 weeks ago

স্বাস্থ্য খাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব

জাতীয়3 weeks ago

সংস্থা বলছে জঙ্গি – পরিবারের দাবি ডাঃ শাকির নির্দোষ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর3 weeks ago

দেশে রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

জাতীয়3 weeks ago

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রম কেউ ঠেকাতে পারবে না – স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাতীয়3 weeks ago

বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়3 weeks ago

ডেন্টাল সার্জন অবসরে, কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে চিকিৎসা দিচ্ছে টেকনিশিয়ান

জাতীয়4 weeks ago

সিআইডি পরিচয়ে ‘চিকিৎসক’ তুলে নেওয়ার অভিযোগ

জাতীয়1 month ago

ওষুধের দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ

পরামর্শ1 month ago

দাঁতের চিকিৎসার সময় যে তথ্যগুলো গোপন করবেন না!

জাতীয়1 month ago

হাসপাতালের ল্যাবে ইলিশ মাছ, সিলগালা করে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট

পড়ালেখা1 month ago

বাইরের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মাস্টার্সে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে ঢাবি

শিক্ষাঙ্গন1 month ago

রংপুর মেডিকেলের ‘অসুখ’ সারবে কে?

জাতীয়1 month ago

কখনোই নিবন্ধন করেনি দেশের ১৪ শতাংশ হাসপাতাল: আইসিডিডিআর’বি

Advertisement

সম-সাময়িক

Subscribe for notification