করোনার দ্বিতীয় টিকার অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
গতকাল বুধবার একটি সরকারি বৈঠকে এই সুখবর দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তাঁকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায়। টিকাটি তৈরি করেছে সাইবেরিয়ার ভেক্টর ইনস্টিটিউট। তারা গত মাসে মানব শরীরে টিকাটির প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে।
কিন্তু সেই এই ট্রায়ালের ফলাফল এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। তা ছাড়া তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নামে পরিচিত বড় আকারের ট্রায়ালও এখন পর্যন্ত শুরু করা হয়নি। রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত বক্তব্যে পুতিন বলেন, ‘আমাদের প্রথম ও দ্বিতীয় টিকার উৎপাদন বাড়ানো দরকার।’
পুতিন আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। আমরা বিদেশে আমাদের টিকার প্রচার চালাব।’
রাশিয়ার দ্বিতীয় টিকাটির নাম ‘এপিভ্যাককরোনা’। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর টিকাটির পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
গত আগস্ট মাসে রাশিয়া তাদের প্রথম করোনার টিকার অনুমোদন দেয়। বিশ্বে প্রথম করোনার টিকা অনুমোদনের ঘটনা ছিল এটি।
গত আগস্ট মাসে করোনার প্রথম টিকার অনুমোদন দেয় রাশিয়া। এটি বিশ্বের কোনো দেশে রাষ্ট্রীয় অনুমোদন পাওয়া প্রথম করোনা টিকা। রাশিয়ায় অনুমোদন পাওয়া করোনার প্রথম টিকাটির নাম ‘স্পুটনিক-৫ ’
ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া কোভ্যাক্সিন টিকার পরীক্ষা বাংলাদেশে পরিচালনার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে এর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকার পরিচালিত বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক মাহমুদ-উজ-জামান। তিনি জানান, ভারত বায়োটেকের আবেদনটি খতিয়ে দেখবে কাউন্সিলের এথিকস কমিটি। তবে এর বেশি জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনও টিকা পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ। এদিকে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর সহায়তার ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত টিকা কোভ্যাক্সিন এই মাসে ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। তবে টিকাটি এখনও ব্যাপক পরিমাণ পরীক্ষায় কার্যকারিতা প্রমাণ করতে পারেনি। তবে প্রাথমিক পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে, টিকাটি নিরাপদ এবং মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভারত বায়োটেকের হয়ে বাংলাদেশে কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজেস রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। তবে এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি এবং ভারত বায়োটেক।
এর আগে চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেকের করোনা টিকার চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করে। তবে চীনা কোম্পানিটি বাংলাদেশকে অর্থায়নের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা। ফলে টিকা বাংলাদেশের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে নিজ দেশে কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা শুরু করে ভারত বায়োটেক। ওই সময়ে ভারতের একজন শীর্ষ টিকা কর্মকর্তা বিনোদ কুমার পাল রয়টার্সকে জানান, এক থেকে দুই হাজার মানুষের ওপর একই আকারের একটি পরীক্ষা বাংলাদেশেও চালানো হতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত টিকা কোভিশিল্ড ভারতের কাছ থেকে গ্রহণ করা শুরু করেছে বাংলাদেশ। টিকাটি প্রস্তুত করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। তবে ভারতের কাছ থেকে কোভ্যাক্সিন নেওয়ার তাৎক্ষণিক কোনও পরিকল্পনা বাংলাদেশের নেই।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের টিকা কেনার প্রক্রিয়া ভালোভাবেই এগুচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই আমরা টিকা প্রদান শুরু করবো। এই মুহূর্তে ভারত বায়োটেকের টিকা কেনার কোনও পরিকল্পনা নেই।’
এখন পর্যন্ত একমাত্র দেশ হিসেবে ব্রাজিলই কোভ্যাক্সিন টিকা ভারতের কাছ থেকে কেনার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে। এছাড়া কোম্পানিটি ফিলিপাইনে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে বৃহস্পতিবার আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী নয়া দিল্লিতেই ভ্যাকসিন নেয়ার পর ৫২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে একজনের শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এছাড়া তেলেঙ্গানায় ১১ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে দেশটিতে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোভিড টিকাদান কর্মসূচি। দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দুয়েকটি ছোট ঘটনা ছাড়া দেশজুড়ে নির্বিঘ্নেই প্রথমদিনের টিকাদান শেষ হয়েছে। তবে রাত বাড়তেই বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর আসতে শুরু করে।
কলকাতায়ও ভ্যাকসিন নেয়ার পর এক নার্স অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
দিল্লি থেকে প্রথমে জানা যায় টিকা নেয়ার পর ২ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। চরক পালিকা হাসপাতালে টিকা নেয়ার পর তারা বুকে চাপ অনুভব করেন। ৩০ মিনিটের জন্য তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পরে দিল্লি সরকার জানায়, দিল্লিতে ৫২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল।
তবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সাংবাদিকদের বলেন, টিকা দেয়ার পর দেশে কোনো বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে দিল্লি সরকার এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে কো-উইন অ্যাপের সমস্যায় দেশটির কয়েকটি রাজ্য সমস্যায় পড়েছে। এই সমস্যার জেরে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে মহারাষ্ট্র। শুক্রবার থেকে এই অ্যাপে সমস্যা তৈরি হয়।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে বিশ্বজুড়ে যখন ভ্যাকসিন নেওয়ার তোড়জোড় চলছে, তখন প্রকাশ্যে এলো এক দুঃসংবাদ। বহুল আলোচিত ফাইজার-বায়োএনটেক কোম্পানি উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর নরওয়ের ২৩ জন নাগরিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
ব্লুমবার্গে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ৮০ পেরিয়ে গিয়েছিল। তাঁদের মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সে দেশের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনার প্রতিষেধক গ্রহণের পরই মৃতদের শরীরে ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ে সরকার।
ফাইজার এবং বায়োএনটেক-এর প্রতিষেধকের সঙ্গে ওই ২৩ জনের মৃত্যুর সরাসরি কোনও সংযোগ রয়েছে কি না, নিশ্চিত ভাবে তা এখনও জানা যায়নি। সংক্রামক রোগ প্রতিরোধী এমআরএনএ প্রতিষেধক নেওয়ার পর সাধারণত ডায়রিয়া, জ্বর এবং বমিবমি ভাব দেখা দেয়। প্রতিষেধক গ্রহণের পর মৃতদের মধ্যে ১৩ জনের মধ্যে একই রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল বলে দাবি
বিশ্বে বছরে ২০০ কোটি ডোজ সরবরাহের লক্ষ্যে এই মুহূর্তে কাজ করে চলেছে ফাইজার। কিন্তু নরওয়ের এই ঘটনার পর তারা ইউরোপে প্রতিষেধক সরবরাহ আপাতত কমিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে নরওয়েয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (এফএইচআই)।
৮০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের শরীরে প্রতিষেধক প্রয়োগ নিয়ে সতর্কতাও জারি করেছে তারা। শারীরিক অবস্থা বুঝে কার উপর প্রতিষেধক প্রয়োগ করা উচিত আর কার উপর নয়, সে ব্যাপারে চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে তারা।
রোগীদের আগুনের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ চিকিৎসক কাতালিন দেনসিউয়ের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেলজিয়াম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শনিবার রোমানিয়ায় করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত পিয়াত্রা নিমট একটি করোনা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা আইসিইউর পাশের কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন থেকে রোগীদের বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন চিকিৎসক কাতালিন।
ওই অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন রোগী মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাঁদের বয়স ৬৭ থেকে ৮৬ বছর। এ ছাড়া ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের আইসি শহরের অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সরকারি এই হাসপাতালে কীভাবে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লস আইওহানিস।
চিকিৎসক কাতালিনকে বেলজিয়ামের কুইন আসট্রিড সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লস আইওহানিস তাঁকে ‘নায়ক’ বলে অভিহিত করেছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট এই ঘটনাকে ‘বড় ধরনের ট্র্যাজেডি’ বলে মন্তব্য করেছেন। ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে জন্য বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।
স্থানীয় খবরে বলা হয়, একটি মেডিকেল সরঞ্জামে আগুন লাগে। কাছেই ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার। আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে ওই ইউনিটটিকে তৃতীয় তলা থেকে দ্বিতীয় তলায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রোমানিয়ায় এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৯ হাজার জনের। গত শনিবার দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩ হাজার করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ১৬৯ জন ছিলেন আইসিইউতে।
একটি দাঁত ছাড়া এর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না আততায়ীর হাতে নিহত কঙ্গোর স্বাধীনতার নায়ক এবং প্রথম প্রধানমন্ত্রী প্যাট্রিস লুমুম্বার মরদেহের৷ সেটিই এবার তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেলজিয়াম৷
এ রায়ের মাধ্যমে কয়েক দশক ধরে কঙ্গোর সঙ্গে বেলজিয়ামের দেনদরবার চলছিল৷ দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর অবশেষে জয় পেয়েছে লুমুম্বার পরিবার৷ বেলজিয়ামের এক আদালত তার মরদেহের অবশিষ্টাংশ কঙ্গোয় তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার রায় দিয়েছে৷
ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে ১৯৬০ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে সদ্য স্বাধীন কঙ্গোর প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন প্যাট্রিস লুমুম্বা৷ কিন্তু কয়েক মাস পরই সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান মোবুতু সেসে সেকো৷ তখন লুমুম্বাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়৷
১৯৬১ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করে৷ এমনকি যাতে তার কবর তীর্থস্থানে পরিণত না হয়, সেজন্য লুমুম্বার মরদেহও অ্যাসিডে পুড়িয়ে দেয়া হয়৷
ডিএনএ না থাকলেও নিশ্চিত কর্তৃপক্ষ
মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার পর সেখানে উপস্থিত থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা সে দাঁত সরিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়৷
এ দাঁত সত্যিই লুমুম্বার কিনা তা নিশ্চিত হতে প্রয়োজন ডিএনএ টেস্ট৷ কিন্তু বেলজিয়ামের ফেডারেল প্রসিকিউটরের দপ্তরের মুখপাত্র এরিক ফন ডুয়েসে জানান, এই দাঁতের ডিএনএ পরীক্ষা করার উপায় নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘এমন টেস্ট করতে গেলে দাঁতটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়৷”
বিচারকেরা অবশ্য যেখান থেকে এই দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এটি যে লুমুম্বারই তা নিশ্চিত হয়েছেন৷ তবে এ বিষয়ে ডুয়েসে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি৷
প্যাট্রিস লুমুম্বার মেয়ে জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, এই রায়ে তার পরিবার অনেক খুশি হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা দারুণ বিজয়৷ যে দেশ ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আমার বাবা প্রাণ দিয়েছেন, মৃত্যুর ৬০ বছর পর তার মরদেহের অবশিষ্টাংশ তার পূর্বপুরুষের মাটিতে ফেরত আসছে৷”
প্যাট্রিস লুমুম্বার ছেলে ফ্রাঁসোয়া লুমুম্বা বলেছেন, তিনি মনে করেন বেলজিয়াম সরকারের উচিত দ্রুত এই দাঁত কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া৷
এক স্বপ্নের প্রতীক
স্বাধীনতার পর কঙ্গো কেমন হতে পারতো তার প্রতীক হিসেবে লুমুম্বাকে দেখে থাকেন অনেকে৷ দেশটিতে তার মৃত্যুর সঙ্গেই গণতন্ত্রের সব আশা শেষ হয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে৷
আফ্রিকা মহাদেশের ইতিহাসে লুমুম্বার হত্যাকাণ্ডকে বড় একটা ঘটনা হিসেবে দেখা হয়৷ সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করায় তাকে উৎখাতে সেনা অভ্যুত্থান ও পরবর্তীতে হত্যায় বেলজিয়াম ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকা নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে৷
পরবর্তীতে বেলজিয়ান পার্লামেন্টের এক তদন্তে লুমুম্বার মৃত্যুতে সরকার ‘নীতিগতভাবে দায়ী’ বলে প্রমাণ পাওয়া যায়৷ ১৯৭৫ সালে মার্কিন সিনেট কমিটি প্রমাণ পায় সিআইএ লুমুম্বাকে হত্যার বিফল চেষ্টা চালিয়েছিল৷