ডেন্টাল টাইমস: ৩য় জাতীয় ইন্টারডেন্টাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনের খেলায় আজ জয় তুলে নিয়েছে সমরিতা সুপারস্টারস, ইউনাইটেড ইউডিসি, জয় বাংলা সোহরাওয়ার্দী।
আজ সকাল দশটায় মেন্ডি ডেন্টাল কলেজের মাঠে টুর্নামেন্টর দ্বিতীয় দিনের খেলায় সমরিতা মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটের দল সমরিতা সুপারস্টারস মুখোমুখি হয়েছে মার্কস ডেন্টাল কলেজের মার্কস বার্নার্সের। এই ম্যাচে সমরিতা সুপারস্টারস ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রানের টার্গেট দেয় মার্কস বার্নার্সেকে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে সামিউল এবং দুই ওভারে ৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছে মুন। এছাড়া মার্কস বার্নার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করে মুনের বলে আউট হয় ফাহিম। ২৮ রানের ব্যাবধানে সহজ জয় তুলে নেয় সমরিতা সুপারস্টারস। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছে মুন।
ইউনাইটেড ইউডিসি । ছবি : সানিয়া ইসলাম নদী
দুপুর বারোটার ম্যাচে ইউনাইটেড ইউডিসি মুখোমুখি হয়েছে সিডিসি চ্যাম্পের । সিডিসি চ্যাম্প দুই উইকেটে ৮৬ রান করে ৮৭ রানের টার্গেট দেয় ইউনাইটেড ইউডিসিকে। সিডিসি চ্যাম্পর হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান সংগ্রহ করে সজীব। ইউনাইটেড ইউডিসি ৮৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হরিয়ে নিঃশ্চিত জয় তুলে নেয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করে অনি । ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছে অনি।
এদিকে দুপুর দুইটায় সোহরাওয়ার্দী ডেন্টাল কলেজের দল জয় বাংলা মুখোমুখি হয়েছে সাপ্পারো ডেন্টাল কলেজের দল সাপ্পারো স্পার্টান্সের। ব্যাডিং এ নেমে জয় বাংলা ৭৮ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ রান করে স্বাগত এছাড়া দলের হয়ে ৩ টি করে উইকেট তুলে নিয়েছে সে। অন্যদিকে, সাপ্পারো স্পার্টান্স ৪ রান আগেই গুটিয়ে যায় জয় বাংলার কাছে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬ রান করে প্রান্ত এর বলে ফিরে যেতে হয় তাকে। দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী জোবায়ের। ১০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছে ৩ উইকেট। ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও দলের প্রয়োজনের মুহুর্তে দলের হাল ধরায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছে স্বাগত।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ‘বিটকরোনা’ নামের করোনা শনাক্তকারী কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা টুল তৈরি করেছে দেশি সফটওয়্যার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন । তাদের দাবি, করোনাবট এবং এক্স-রে ইমেজ অ্যানালাইসিস টুল উন্নত উপায়ে ও দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত কি না, তা নিজে থেকে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
ইজেনারেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবহারকারী নিজেই কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত কি না, সেই সিদ্ধান্ত যাতে নিতে পারেন, এ জন্য ইজেনারেশন করোনাবটকে সেলফ-টেস্টিং টুলস হিসেবে তৈরি করেছে। এটি ব্যবহারকারীকে নিজে থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে আইসোলেশনে থাকতে উৎসাহ দেয়।
এটি স্বাস্থ্যকর্মীদের সময় বাঁচাতে পারে। ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন বুঝতে পারা এবং সেটির যথাযথ উত্তর দেয়ার জন্য করোনাবটটিতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা হয়েছে। বটটি ইংরেজি, বাংলা এবং বাংলা ভাষাকে ইংরেজি অক্ষরে লেখা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
এর পাশাপাশি ইজেনারেশন মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এক্স-রে ছবি বিশ্লেষণী টুল তৈরি করেছে যা বুকের এক্স-রে ছবি দেখে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে কার্যকর হতে পারে। এই টুল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা সুস্থ আছেন কিনা, মৃদু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কিনা অথবা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সেটি জানা যাবে। ইজেনারেশন বিটকরোনা (http://beatcorona.egeneration.co/) ওয়েবসাইটে গিয়ে এক্স-রে ছবি আপলোড করলে টুলটি ফলাফল দেখাবে
ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, ‘ইজেনারেশন বিগত দুই বছর ধরে স্বাস্থ্যসেবা সফটওয়্যার ও অ্যানালিটিক্স নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে আসছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির যে সক্ষমতা আমাদের তৈরি হয়েছে, সেটি ব্যবহার করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের এই সল্যুশনগুলি আমরা স্বল্প সময়ে তৈরি করতে পেরেছি।’
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক নারীসহ আরও দুইজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হলেন, উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের কামাড়পাড়া গ্রামের ৫৫ বছরের এক নারী ও জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা গ্রামের ৩০ বছরের এক যুবক।
আক্রান্ত ওই নারী ঢাকায় বোনের বাসায় এবং যুবক ঢাকায় জুয়েলারি দোকানে থাকতেন। ২৬ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠান। এরমধ্যে তাদের ওই দুইজনের করোনা পজিটিভ ও চারজনের নেগেটিভ আসে বলে স্বাস্থ্যকর্মী এজাজুল হক হাসান রাত সাড়ে এগারোটায় জানিয়েছেন।
এর আগে ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের পলি ক্লিনিকের সিনিয়র ওটি বয় অখিল চন্দ্র সরকারের করোনা পজিটিভ হলে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে ২৪ এপ্রিল বাড়ি আসেন।
এ পর্যন্ত মির্জাপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা ১৫২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে ১৪৯ জনের করোনা নেগেটিভ ও ৩ জনের পজিটিভ আসে।
উপজেলা প্রশাসন রাতেই তাদের ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো এবং আশপাশের অর্ধশত বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চিকিৎসক-নার্সসহ ৬৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মী মরণব্যাধী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা দেশের মোট আক্রান্তের ১১ ভাগ। আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
সংগঠনটির মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে বাংলাদেশও গভীর সংকটের সম্মুখীন। আজ সোমবার পর্যন্ত দেশের করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯১৩ জন এবং মারা গেছেন ১৫২ জন।
এতে আরও বলা হয়েছে, করোনা যুদ্ধের সম্মুখ সারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ সেবাদানকারীগণ আশঙ্কাজনকভাবে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এ পর্যন্ত ২৯৫ জন চিকিৎসক, ১১৬ জন নার্স ও ২৪৯ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীসহ চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬০, যা দেশের মোট আক্রান্তের ১১ ভাগ।
চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবাদানকারী ব্যক্তিগণ এই হারে আক্রান্ত হতে থাকলে আগামীতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের প্রতি নিম্নলিখিত প্রস্তাবনাসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানায় বিএমএ। এগুলো হলো:
১. দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড হাসপাতালে নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য সঠিক মানের পিপিই, এন-৯৫ বা এর সমমানের মাস্ক প্রদান করা জরুরি। ২. নন-কোভিড হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে ট্রায়াজ সিস্টেম চালু করে সেখানে কর্মরত সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত পিপিই, এন-৯৫ বা সমমানের মাস্ক প্রদান নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। ৩. সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন, প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ ও হাসপাতালে যাতায়াতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি।
দেশে মহামাহারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ১৫২ জনের মৃত্যু হলো। আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৯৭ জন। ফলে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৪০১টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৪৯৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও সাতজন, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫২ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও নয়জন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩১ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ সাত হাজার। তবে পৌনে নয় লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপের মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায়, বিশেষত ঘরে রাখা। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশের টহল জোরদার করেও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না বিধায় করোনাভাইরাসের বিস্তার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঠেকাতে চীন থেকে চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম ঢাকায় আসছেন। দেশে মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম (এপিডেমিক প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম) তৈরির জন্য এই দলটি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সরকারের অন্যান্য এজেন্সির সঙ্গে কাজ করবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) চীনে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান গণমাধ্যকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই দলটির সবাই চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সিনোভাশিও সংস্থায় কর্মরত। এই সংস্থাটি মহামারি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চীন সরকারকে সফলভাবে সহায়তা করেছিল।’ ইতোমধ্যে তারা ভিসা পেয়ে গেছেন এবং বাংলাদেশে তারা তিন মাস অবস্থান করবেন।
মাহবুব উজ জামান জানান, এপিডেমিক প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের কাজ হচ্ছে মহামারির তথ্য সংগ্রহ করে একটি দ্রুত মডেলিং তৈরি করা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ এজেন্সি ও স্থানীয় পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের কাছে গবেষণালব্ধ তথ্য পৌঁছে দেওয়া। এর মাধ্যমে নব্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পদ্ধতিও আছে।
এর আগে রোববার চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘চিকিৎসক, নার্স এবং প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি চীনা চিকিৎসা দল ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার জন্য বাংলাদেশে আসছে।’ শুধু তাই না, পুরোপুরি চীনা অর্থায়নে গড়া চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রকে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য একটি অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
চীনা চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বিশেষজ্ঞ দল ইতোমধ্যে ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, পাকিস্তান এবং আফ্রিকার অন্যান্য মুসলিম দেশে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন অদ্যাবধি নিরীক্ষা কিট, টিউব, ভেন্টিলেটর, মাস্ক, থার্মোমিটার, গগলস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জামসহ লাখ লাখ চিকিৎসা সামগ্রী ও উপকরণ প্রদান করেছে।’
বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা আরও একবার!’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনা কোম্পানিগুলো এবং জ্যাক মা ফাউন্ডেশন ও আলিবাবা ফাউন্ডেশনের মতো দাতব্য সংগঠনগুলোও বাংলাদেশকে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসা সামগ্রী ও উপকরণ দিয়েছে। রোহিঙ্গা ভাই- বোনদের জন্য টনকে টন চালবাহী কার্গোগুলো চট্টগ্রাম পৌঁছেছে। বাংলাদেশে বৃহৎ প্রকল্পগুলোতে সংশ্লিষ্ট চীনা কোম্পানিগুলো করোনা পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট সব অসুবিধা ও হতাশার পরেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি আপনাদের আবারও নিশ্চিত করছি যে, আরও ভালো ও অংশীদারিত্বমূলক ভবিষ্যতের জন্য এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের পাশে দাঁড়িয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে।’