Uncategorized
বাংলাদেশে এন্ডোডন্টিক্স এর পথিকৃৎ – অধ্যাপক ডাঃ ওসমান গনি খান
Published
3 years agoon
ওসমান গনি স্যার আপডেট ডেন্টাল কলেজ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় ২০০৯-২০১৯ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি বাধ্যক্যজনিত কারনে অবসর গ্রহণ করেছেন।তিনি ঢাকা ডেন্টাল কলেজ এর D-10 ব্যাচ এর ছাত্র ছিলেন। তিনি বাংলাদেশী ডেন্টাল সার্জন হিসেবে নিউজিল্যান্ড এর ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে MDS ডিগ্রি লাভ করেছেন।কর্ম জীবনে তিনি বিসিএস ক্যাডার থেকে অবসর নিয়ে পরবর্তীতে বংবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির কনজারভেটিভ ডেন্ট্রিস্টি ও এন্ডোডন্টিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ এন্ডোডন্টিক সোসাইটি এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।গত ১৬.০৭.২০১৯ তারিখে আপডেট ডেন্টাল কলেজ বিদায়ী সংবর্ধনা আয়োজন করেছে।উক্ত অনুষ্ঠানে কলেজের চেয়ারম্যান ঊলফাত জাহান মুন,আলিম ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, অধ্যক্ষ ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ ও আপডেট এর নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ এস এম আব্দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
ডেন্টাল টাইমস এর সঙ্গে নতুন নিয়োগকৃত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃ এম এম আব্দুল কাদের কথা বলেন। সেই বক্তব্য পাঠকের উদ্দেশ্যে উল্লেখ করা হলো।
ডেন্টাল টাইমসঃ স্যার অধ্যাপক ডাঃ ওসমান গণী স্যার সম্পর্কে আপনার অভিব্যক্তি কি?
অধ্যক্ষ ডাঃ এস এম আব্দুল কাদেরঃ ২০০৮ সালে আপডেট ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা পায়। তখন ক্যাম্পাস ছিল রাজধানীর কমলাপুরের মুগদায় ।ওখানে প্রথম তিন টি ব্যাচ ভর্তি হয়। তারপর পরে ওখানে রেজিস্ট্রেশন গত জটিলতার কারণে কলেজটা আর এগোতে পারেনি । তারপরে এইটা আইচি মেডিকেল গ্রুপ ২০১০ সালে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে অলরেডি তখন তিনটা ব্যাচ ভর্তি হয়ে গেছে, সুতরাং কলেজ যদি বন্ধ হয়ে যায় তো এই ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন এবং একাডেমিক ভবিষ্যৎ সব কিছু চিন্তা করে আলিম ফাউন্ডেশন বা আইচি মেডিকেল গ্রুপ এই কলেজ কে চলমান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তখন কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ ওসমান গনি খান। এই কথা চিন্তা করে আইচি মেডিকেল গ্রুপ নির্ধারণ করে তিনিই এই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
২০১০ সাল থেকে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে আমি সেই কলেজে কাজ করা শুরু করি সেই থেকে স্যারের সাথে সম্পর্কটা তৈরি হয়। তার আগে ও স্যারের সাথে আমার পরিচয় সেই ২০০০ সালে । তখন আমি পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজে শিক্ষকতা তে যোগ দেই । তখন স্যার কনজারভেটিভ ডিপার্টমেন্টের হেড ছিলেন। ২০০৩ সালে আমি সরকারী চাকরিতে যাই। তার আগ পর্যন্ত স্যার কে আমি দেখেছি। পোস্ট গ্রাজুয়েট এর মাস্টার্স এর পরীক্ষক ছিলেন স্যার। আমি যতদূর স্যার কে দেখেছি সেটা হচ্ছে স্যার খুবই সৎ, দায়িত্ববান এবং কর্তব্যনিষ্ঠ একজন শিক্ষক এবং পরীক্ষক। পাশাপাশি তিনি একজন ভালো অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। স্যার খুবই ভালো একজন মানুষ।তিনি আমার শিক্ষাগুরু ছিলেন। কোন মানুষের উনি খারাপ চাইতেন না । ১৩ বছর স্যারের সঙ্গে আমি কাজ করেছি , আপডেট ডেন্টাল কলেজে প্রায় ১০ বছর স্যার অধ্যক্ষ ছিলেন। আমি উপাধ্যক্ষ ছিলাম।
আমরা শিক্ষকতায় যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলোতে স্যার কখনো হস্তক্ষেপ করতেন না অযৌক্তিক কিছু না দেখা পর্যন্ত। আমাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি আপডেট ডেন্টাল কলেজকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে আসার। কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রথম ও হয়েছে। শিক্ষক হিসেবে তিনি একজন সফল শিক্ষক। পঁয়ত্রিশ বছর যাবৎ উনি পরীক্ষা নিচ্ছেন। আমিও দেখেছি ওনাকে পরীক্ষা নিতে। কখনো আমি ওনাকে দেখি নি পরীক্ষাতে কোন ধরনের ত্রুটি বা কোন পরামর্শ বা কোন অযৌক্তিক দাবি পূরণ করতে।
ডেন্টাল টাইমসঃ স্যার এর সঙ্গে কোন মজার স্মৃতি পাঠকদের উদ্দেশ্যে যদি জানাতেন।
অধ্যক্ষডাঃ এস এম আব্দুল কাদেরঃ স্যারের সাথে আমি এক বার বিদেশ ভ্রমণ করেছিলাম সেটা ছিল হংকং এবং আমরা এক রুমে ছিলাম। উনাকে দেখলে খুব রাশভারী মনে হয় কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে উনি অনেক চমৎকার একজন রসিক মানুষ। মানুষের সাথে খুবই গল্প করতে পারেন এবং মিশতে পারেন। মানুষকে খুব মজার মধ্যে রাখতে পছন্দ করতেন।একবার হংকংয়ে কনফারেন্সের পরে আমরা একটা পার্কে ঘুরতে গেলাম। এটা ২০১২ সালের কথা বলছি তখন হংকংয়ের ওশন পার্কে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম। স্যার ও ছিলেন আমার সঙ্গে। আরো সাত বছর আগের কথা। ওখানে একটা রাইড আছে, সেটির নাম হচ্ছে হেয়ার রেইজার। ওই রাইডে চড়লে মাথার চুল খাড়া হয়ে যায়।স্যারের হৃদযন্ত্র জনিত সমস্যা ছিল। তাই আমি স্যারকে বলেছিলাম- “ স্যার আপনি এই রাইডে চড়তে পারবেন?” স্যার আমাকে বললেন- “আরে না আমার কিছু হবে না চলো রাইডে উঠি।” তো আমরা চাচ্ছিলাম না যে সার রাইডে উঠুক কিন্তু স্যার মানসিকভাবে চাচ্ছিলেন রাইডটি উপভোগ করবেন এবং যাবেন। তারপর স্যারকে আমার পাশে বসালাম। এই রাইডটি অনেক ভয়াবহ ছিল। একদম রোলার কোস্টার এর আপডেট ভার্সন এবং খুবই ভয়াবহ। মাথাকে প্রচন্ড ঘুরিয়ে দেয়ার মত।তো নামার পর আমাকে বলছেন – “ আমি কি পারলাম? ”। তো আমি বললাম যে – “ স্যার আপনি পারলে ” । স্যারের দেখি মুখ সব লাল হয়ে গেছে এবং স্যার আমাকে বললেন-“ চলো আবার যাই” এবং আমি বললাম যে স্যার আর দরকার নেই আমরা যতটুকু ওঠার উঠেছি আবার পরে হবে ইনশাল্লাহ।
ডেন্টাল টাইমসঃ স্যার এর বিদায়ী সংবর্ধনা নিয়ে কিছু বলুন।
অধ্যক্ষ ডাঃ এস এম আব্দুল কাদেরঃ স্যার এর শিক্ষাগত জীবনে স্যার ঢাকা ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং প্রতিটা প্রফেই তিনি প্রথম হয়েছেন। ১৯৭৪ সালে তিনি ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন এক্সট্রা মেরিটোরিয়াস স্টুডেন্ট হিসেবে এবং ওই সময় মাস্টার্স ডিগ্রী করতে তিনি নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন এবং ওই সময়ে এভাবে বাইরে মাস্টার্স করতে যাওয়া সচরাচর দেখা যেত না বাংলাদেশে। তো তিনি তখন নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফল ভাবে কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি এন্ড এন্ডোডন্টিকস এ সফলভাবে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বাংলাদেশে ফিরে এসে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে যোগদান করেন। এরপর প্রায় ১০ বছরের মত উনি সৌদি আরবে ছিলেন। তার পরে এসে উনি পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজে যোগদান করেন। তারপর পাইওনিয়ারে অনেকদিন থাকার পরে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট এ অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন এবং এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এরপর উনি আপডেট ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং আপডেট ডেন্টাল কলেজে ডিরেক্টরশীপ ও মালিকানা ছিল ওনার এবং পার্টনারশিপ ছিল। উনার বিশ্বাস ছিল এই ডেন্টাল কলেজ কে একটি উন্নত ডেন্টাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করবেন। কিন্তু তেমন ভাবে উনি সফলভাবে কাজটা করতে পারেননি বেশ কিছু জটিলতার কারণে। এরপর থেকেই আপডেট ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বেশ লম্বা একটা সময় উনি দায়িত্বরত ছিলেন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ৬৫ বছরের বেশি হলে অধ্যক্ষ হিসেবে থাকা যায় না এবং এই বার্ধক্যজনিত কারণ পূর্বক উনি অধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেন।
পাশাপাশি স্যারের শারীরিক অসুস্থতার জন্য স্যার অবসর নিয়েছেন। আমরা আপডেট ডেন্টাল কলেজের সকল ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা সকলে মিলে চেষ্টা করেছি স্যারকে স্যার এর যথাযথ সম্মান টুকু প্রদর্শন করার। এ কারণে গত ১৬ ই জুলাই আমরা ( স্যার অবশ্য পহেলা জুলাই থেকে অবসরে) স্যারের জন্য একটি বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ গ্রুপ, আপডেট ডেন্টাল কলেজ সিনিয়র টিচার, বিভাগীয় প্রধান ফ্যাকাল্টি মেম্বার এবং এই অনুষ্ঠানে আমরা ২০০৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যত জন শিক্ষক ছিলেন স্যার এর সংস্পর্শে এসেছেন তত জন শিক্ষককে দেশে-বিদেশে আমরা দাওয়াত দিয়েছি, যেন স্যারের ভালো লাগে। পাশাপাশি প্রথম ব্যাচ থেকে ষষ্ঠ ব্যাচ পর্যন্ত যারা এলামনাই ডাক্তারদের কেও আমরা দাওয়াত দিয়েছি যেন স্যারের ভালো লাগে। অনেকেই এসেছিলেন স্যার কে শুভেচ্ছা জানাতে।
আমাদের মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ এর চেয়ারম্যান, পরিচালক, অধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান বৃন্দ সকলেই উপস্থিত ছিলেন স্যারকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য এবং সেই দিনটি আসলে স্যার এর জন্যই ছিল। আমরা চেষ্টা করেছিলাম স্যারকে স্যার এর যথাযথ সম্মান টুকু প্রদর্শন করার এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মানপত্র, ক্রেস্ট প্রদান সহ স্যারের ভালো লাগার আমরা যতোটুকু জানতাম সে উপহার গুলো আমাদের পক্ষ থেকে স্যারের জন্য প্রদান করেছি। সেই সাথে ছিল অডিও ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে আমরা প্রোগ্রাম টিকে সাজিয়েছিলাম। এটি আমাদের দায়িত্বের মধ্যে ছিল এবং আমাদের মাথায় একটি বিষয় ছিল যাতে স্যার কে আমরা একটি যথাযথ বিদায় সম্বর্ধনা প্রদান করতে পারি।
ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন উনি বলছিলেন- “স্যার কে আসলে বিদায় দিতে চাইনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আজকে স্যার কে অবসরে যেতে হল। যেহেতু উনি চিকিৎসক এবং তার পাশাপাশি শিক্ষক সুতরাং উনার বিদায় সত্যিকার অর্থে সম্ভব নয় । আমরা স্যারকে বিভিন্নভাবে আমাদের মাঝেই রাখার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি ই-লার্নিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজধানীর কাকরাইলে একটি স্টুডিও আছে। সিনিয়র মেডিকেল প্রফেশনালস অর্থাৎ মেডিকেল শিক্ষক যারা আছেন বেসিক সাবজেক্ট এবং ক্লিনিক্যাল সাবজেক্ট এর সকল কিংবদন্তী শিক্ষকদের বিভিন্ন লেকচার রেকর্ড করে রাখা হবে এবং বিভিন্ন বিষয়ের যে মূল্যবান লেকচার সমূহ রয়েছে সেগুলো রেকর্ড আকারে সংগৃহীত হবে। সবগুলো মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজে যাতে এই লেকচার গুলো দেয়া যায় সে ব্যবস্থা করা হবে। যেহেতু ই-লার্নিং এর এত সুন্দর একটি ব্যবস্থা হচ্ছে সেখানে স্যারকে আমরা চাই। স্যারের ৪০ বছরের এই শিক্ষকতা জীবনের যত মূল্যবান লেকচার সমূহ রয়েছে সেগুলো এই স্টুডিওতে স্যার প্রদান করবেন।”
এবং এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন-“ আপডেট ডেন্টাল কলেজে কোন ধরনের সাইন্টিফিক সেমিনার বা স্পেশাল ক্লাস গুলো স্যার যদি নিতে চান যেহেতু এগুলো খন্ডকালীন সেহেতু স্যার আসতে পারবেন। আর যদি নিতে চান তাহলে আমরা সেভাবে স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা করব এবং এভাবে আমাদের ডাক্তারবৃন্দ এবং আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরাসহ সকলে উপকৃত হবে।”
স্যার যাতে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম এ নিয়োজিত হন এবং ব্যস্ত থাকেন এবং এই অবসর সময়টাকে উপভোগ করেন এই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে অনুষ্ঠানে ।
অধ্যাপক ডাঃ ওসমান গনি খান বিদায়ী বক্তব্যে বলেছেন- “ আমি চেষ্টা করেছি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে। কখনো দুর্নীতিকে আমি প্রশ্রয় প্রদান করিনি ।” আপডেট ডেন্টাল এ যারা কাজ করছেন, শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন যে-“ সকল অবস্থাতে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কোন অবস্থায় যাতে সততা কে বিসর্জন না দেয়া হয়। আপডেট ডেন্টাল কলেজ আমার প্রানের কলেজ। এটি আমার প্রাণের জায়গা এবং এই আপডেট ডেন্টাল কলেজ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমার অসংখ্য স্মৃতি এবং এই আপডেট ডেন্টাল কলেজের সঙ্গে আমি আজীবন সম্পৃক্ত থাকতে চাই। আমি চাই এই কলেজের দায়িত্বরত সকলেই যাতে আমাকে মনে রাখে। আপডেট ডেন্টাল কলেজের বিশেষত ডাক্তার কাদের খুব সুন্দর ভাবে সকল কিছু সংগঠিত করছে এবং শিক্ষকদের যে একটা দলগত প্রচেষ্টা এটি যাতে অব্যাহত থাকে।” কলেজের পরিচালক কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন-“ যে লক্ষ্য নিয়ে আপডেট ডেন্টাল কলেজ সামনে এগোচ্ছে সেটি যাতে সফল ভাবে সম্পন্ন হয়।” এছাড়া তিনি সকলের কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ।
আপডেট ডেন্টাল কলেজের চেয়ারম্যান ঊলফাত জাহান মুন স্যারের সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন এবং স্যারের এই দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের সফলতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং প্রশংসা করেছেন এবং শারজাতে বাকিটা জীবন এভাবে আনন্দে বাকি দিনগুলো কাটান সেই কামনা করেছেন।
রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরাই আক্রান্ত হচ্ছেন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে। শীর্ষে ঢাকা ।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজের (এফডিএসআর) তথ্য অনুযায়ী, রোববার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগে মোট ৩৭১ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ৩০৫ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে- বরিশালে ৯ জন, চট্টগ্রামে ১৫, সিলেটে ৫, খুলনায় ১০, রংপুরে তিন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ নামক একটি সংগঠনটি সারাদেশের চিকিৎসকদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরিসংখ্যান তুলে ধরছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৫ জনে। আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪১৮ জন। এতে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪১৬। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও নয়জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১২২ জনে।
Uncategorized
উত্তপ্ত ইউএসটিসি , ৩৪ স্বাস্থ্যকর্মীকে চাকুরিচ্যুতের প্রতিবাদে ধর্মঘট
Published
3 years agoon
April 26, 2020করোনাভাইরাসের থাবায় যখন সবাই দিশেহারা হয়ে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের দিকে চেয়ে আছে, ঠিক সেই সময়ে চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির অধীন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে ১৯ জন নার্স এবং ১১ জন ক্লিনার ও ৪ জন আয়াকে আকস্মিক চাকরিচ্যূত করেছে কর্তৃপক্ষ। চাকরিচ্যূতির কোন ব্যাখ্যা না দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে ‘কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে’।
চাকুরিচ্যুত করার প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ইউএসটিসি)’ প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা। রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল ১৯ জন নার্স এবং ১৫ জন আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে প্রথমে বেতন ভাতাও আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য বেতন পরিশোধ করা হলেও চাকুরিচ্যুত করার নির্দেশনা জারি রাখা হয়।
ইউএসটিসি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান চট্টগ্রামের একটি গণমাধ্যমে বলেন, ইউএসটিসিতে কোন শৃঙ্খলা নেই। এখানে দুই বার দুইজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডিরেক্টর হিসেবে এসেছিলেন। মালিকপক্ষের এসব অনিয়মের কারণে উনারা চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এরপর থেকে মালিকপক্ষ তাদের পোষা লোকজনকে চেয়ারে বসায়, যাদের কোন ব্যক্তিত্ব নেই। মালিকের কথায় উঠবে, বসবে। এখন তারা অভিজ্ঞ নার্স, আয়া, স্টাফদেরকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিদায় করার নোটিশ দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে অনেককে চাকরিচ্যূত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ৮ এপ্রিল চাকরিচ্যূতির নোটিশে আমরা অবাক হয়েছি। নোটিশে কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এভাবে কাউকে চাকরিচ্যূত করা যায় না। চাকরিচ্যূতদের অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমরা এর প্রতিবাদে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর পুলিশের কমিশনার, জেলা প্রশাসক, খুলশী থানাসহ, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি। করোনা পস্থিতিতে আমরা এই মুহুর্তে আন্দোলনে যেতে না পারলেও আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অগ্রসর হবো।
চাকরিচ্যূত নার্স হামিদা আক্তার বলেন, ‘আমরা ডিপ্লোমাধারী না হলেও আমাদের দিয়েই ইউএসটিসি সৃষ্টি। সরকারতো ডিপ্লোমা ছাড়া নার্স নিয়োগ দিতে নিষেধ করেছে। আমাদেরকে তো চাকরি থেকে বাদ দিতে বলেনি।’
চাকরিচ্যূতির শিকার আরেক নার্স রেহানা আক্তার বলেন, ‘আমার চাকরির বয়স ১৯ বছর। আমি বাইরে ডিপ্লোমা করেছি। নার্সিং কাউন্সিলের নাম্বার ছিল না। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা করেছি তাদের নাম্বার ছিল। সেটা ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেনি।’
এদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের মোট ৭৮ জন নার্স কর্মরত আছেন। যাদের বিদায়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী তাদের যোগ্যতায় ঘাটতি আছে। আগ থেকেই এদের নিয়োগ নিয়ে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আপত্তি ছিল। গত ডিসেম্বর থেকে তাদের বিদায় দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিপরীতে ডিপ্লোমাধারী ২২ জন নার্স আমরা নিয়োগও দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, নার্স-আয়া-স্টাফ মিলে যে ৩৪ জনকে বিদায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তাদের যাবতীয় পাওনা দিয়ে আমরা বিদায় দিচ্ছি। তাদের যে এসোসিয়েশনগুলো আছে ওগুলোর সাথে আমরা আগে বসেছি, তাদের সাথে বসেছি যে তারা কোন শর্তে যে চায়। সে সব শর্ত মেনেই তাদের আমরা বিদায় দিচ্ছি। তারা যাবতীয় পাওনা নিয়েই যাবেন। আর একমাস সময় আমরা হাতে রেখেছি। এই এক মাসের বেতনও তারা পাচ্ছেন।
জানা গেছে, ইউএসটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার ইসলাম প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী ডা. সাবা কাশ্মীরের নাগরিক। ৬ মাস আগে একই প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিবিএস পাস করে তিনিও ডিরেক্টর হিসেবে হাসপাতালে জয়েন করেছেন। এই আদেশের বিষয়ে অনেকে আঙ্গুল তুলছেন ডাঃ সাবা’uর দিকে। কিন্তু আরেক চিকিৎসক ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এসব সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান, নার্সিং ইন্সটিটিউটসহ অন্য অথরিটির সম্মতিতে গ্রহণ করা হয়। একজনের ওপর চাপানোর কোন সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মিনহাজুর রহমান বলেন, কোন কারণ দর্শানো নোটিশ এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া কথায় কথায় চিকিৎসক, নার্স স্টাফ চাকরিচ্যূত করা ইউএসটিসির জন্মগত স্বভাব। করোনা সংকটে তারা অসচ্ছল স্টাফদের চাকরিচ্যূত করাটা অন্যায়। আমরা এই আদেশ প্রত্যাহার চাই।
বিষয়টিকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন দাবি করে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু বলেন, করোনা সংকটে পুরো জাতি যখন একে অপরের পাশে দাঁড়াচ্ছে, সেখানে ইউএসটিসি তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ নার্স, স্টাফ ছাঁটাই করছে— এটা অমানবিক, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধও। কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যূতির এই আদেশ প্রত্যাহার না করলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াবে।
Uncategorized
তিন শর্তে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার নির্দেশ
Published
3 years agoon
April 26, 2020রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে শর্তসাপেক্ষে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
২৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সহকারী স্বাস্থ্য-১ শাখার উপসচিব মো. আবু রায়হান মিয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তিনটি শর্তসাপেক্ষে হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসাসেবা চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করা হয়।
শর্ত তিনটি হলো-
১. হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সাথে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে হাসপাতালটি শুধু করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য পরিচালিত হবে।
২. হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য পরিচালনা ব্যয় নির্ধারণ করা যাবে
৩. রোগীর চিকিৎসার ব্যয়বাবদ খরচ সরকার বহন করবে
Uncategorized
কিট আসুক না আসুক, কাউকে ঘুষ দেবে না গণস্বাস্থ্য
Published
3 years agoon
April 26, 2020করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে কিট উদ্ভাবন করেছে, সেটা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর নেয়নি উল্লেখ করে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে। তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ করেনি। আমরা জনগণের স্বার্থে শুধু সরকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কিটটি কার্যকর কি-না, তা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি পদে পদে পায়ে শিকল দেয়ার চেষ্টা হয়েছে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেন।
এর আগে শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে একই জায়গায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমন্ত্রণ জানানোর পরও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এ কিট গ্রহণের জন্য যায়নি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান। পরদিনই এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন এটি জমা দিতে যান। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর তা গ্রহণ করেনি। এমনকি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনজনের একজনকে ওষুধ প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রবেশও করতে দেয়া হয়নি।
‘কর্তৃপক্ষ জমা নেবেন না। আমরা গিয়েছিলাম, তারা জমা নেননি। বললেন যে সিআরও নিয়ে আসেন। তারপরে বললেন, এটা আপনারা ভেরিফিকেশন করে আনেন সিআরও থেকে। সিআরও হলো চুক্তিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ওখানে পয়সা দিতে হবে। কত খরচ লাগবে, তা উনারা (সিআরও) বাজেট দেবেন। পরে আইসিডিডিআর,বি থেকে ভেরিফিকেশন করিয়ে আনার কথা বলেন। আইসিডিডিআর,বি লকডাউন থাকায় তারা বিএসএমএমইউ, আইইডিসিআর কিংবা আর্মি প্যাথলজি ল্যাবরেটরি থেকে কার্যকারিতা আছে কি-না পরীক্ষা করে দেখার প্রস্তাব দিলেও তা মানা হয়নি।’
তিনি বলেন, জাতির এ দুর্যোগের সময় যুগান্তকারী আবিষ্কার এ কিট কাজে লাগানো যাচ্ছে না। যেখানে ইরানে এ ধরনের কিট প্রতিদিন ১০ লাখ তৈরি ও ব্যবহৃত হচ্ছে, সেখানে তারা কিট জমাই রাখেননি। যে কোনো ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষাতে আপত্তি নেই। কিন্তু জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে তারা এখন বাজেট ঠিক করবেন, তারপর সিআরও’র মাধ্যমে রিপোর্ট নেবেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, কিভাবে তারা ব্যবসায়িক স্বার্থকে রক্ষা করছেন। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অনৈতিক কাজ করছে, দেশের ক্ষতি করছে। তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে রেখে চলেন, তাতে তাদের লেনদেনে সুবিধা হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ প্রধান বলেন, প্রথমে আমাদের বললো, অনুমোদন নেই দেখে আমরা আসতে পারব না। আমরা তো আপনাদের হাতে দিতে চাই, যাতে আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আমাদের গতকাল বলা হলো, তারা আসবেন না। ঠিক আছে, আজকে আমরা গেলাম। আজকে গণস্বাস্থ্যের ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন গেলেন। তারপরও দেখেন, কেমন আমলাতান্ত্রিকতা। দুজনকে ঢুকতে দেবে, আরেকজনকে দেবে না। অথচ বাইরের তিনজন লোককে ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। তাদের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট লোকদের ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। ফিরোজ, তিনি হেড অব এ ডিপার্টমেন্ট অব নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পদমর্যাদায় ওই ডিজি সাহেবের সমতুল্য তিনি। এ জাতীয় লোককে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি যুক্তিতর্কে হেরে যাওয়ার ভয়ে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গতকাল আমরা এখানে কিট হস্তান্তরের একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, এটার অনুমোদনের জন্য। এটা অনুমোদন করার দায়িত্ব হলো ওষুধ প্রশাসনের। দুর্ভাগ্যবশত, ওষুধ প্র্রশাসন এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তারা না ফার্মাসিস্ট, না ফার্মাকোলজিস্ট। তার ফলে এই জিনিসগুলির গুরুত্ব সেভাবে তারা উপলব্ধি করতেই সক্ষম হচ্ছেন না। তারা সম্পূর্ণ ব্যবসায়ী স্বার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছেন।
‘বিজ্ঞানীরা জনস্বার্থে এটি আবিষ্কার করেছেন। এটি ব্যবহারে যত দেরি হবে তত জনগণের ক্ষতি বেশি হবে। এ গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের গুরুত্ব আমরা ওষুধ প্রশাসনকে বোঝাতে পারছি না। সিআরও নামের এজেন্টকে পরীক্ষার জন্য ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। আমরা চাই এটির মূল্য ২৫০ থেকে ২০০ টাকা নামাতে, আর তারা ব্যবসায়িক স্বার্থে নানা অজুহাতে ৫০০ টাকা দাম করতে চায়। ওষুধ প্রশাসন থেকে বলা হয়, দাম বাড়লে বাড়বে। এটা কি জনস্বার্থে কথা হলো? আমার ধারণা একটা শ্রেণী সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে।’
আপনারা গতকাল কিট হস্তান্তর করা হবে বলেছিলেন কেন? এ প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিটটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছি। এখন আমার কাছে কিট থাকলেও সরকারের অনুমোদন ছাড়া আমরা পরীক্ষা করতে পারবো না।
তিনি বলেন, গত ১২ এপ্রিল কিটের যথার্থতা প্রমাণের জন্য সরকারের কাছে রক্ত চেয়েছি। কিন্তু পেয়েছি ২২ এপ্রিল, তাও আবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপের পর। আমার মতো লোক ২৫ বার ফোন করেছি।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আপনাদের সকল ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করে দেবো, তবে ঘুষ দেবো না। গণস্বাস্থ্যের ৪৮ বছরে কাউকে ঘুষ দেইনি, এতে প্রোডাক্ট বাজারে আসুক না আসুক, আমরা ঘুষ দেইনি, দেবো না। এই দুর্নীতির অংশীদার হইনি, হবো না। আমরা আন্দোলন করে যাবো।
মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪১৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৪১৬ জনে। সেইসঙ্গে করোনায় আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জনে।
রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৭৬ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। ৪১৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন। সুস্থ হয়েছে ৯ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মত তিনজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য জানায় আইইডিসিআর।
এরপর ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
জিডিএফ বর্ষপূর্তি ও সাইন্টিফিক সেমিনারের পোস্টার উন্মোচন
চিকিৎসক বুলবুল হত্যা: পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট
প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল
জনস্বাস্থ্য ডেন্টিস্ট্রি বিভাগে পদসৃজন -(নিপসম)
অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়ক হবে লাল, যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে হচ্ছে আইন
দাউদকান্দিতে অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের রমরমা বাণিজ্য
৭ ছাত্র নিরুদ্দেশ: চিকিৎসক শাকিরের সহযোগী ভিলার স্বীকারোক্তি
চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের হুমকি দিয়ে ডেন্টাল চেম্বারে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি!
ডা: মোত্তাকিন আহমেদ স্মরণে বিএসপিডি’র দোয়া মাহফিল
চিকিৎসকদের জন্য লিডারশীপ এক্সেলেন্সি শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
স্বাস্থ্য খাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব
সংস্থা বলছে জঙ্গি – পরিবারের দাবি ডাঃ শাকির নির্দোষ
দেশে রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রম কেউ ঠেকাতে পারবে না – স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ডেন্টাল সার্জন অবসরে, কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে চিকিৎসা দিচ্ছে টেকনিশিয়ান
সিআইডি পরিচয়ে ‘চিকিৎসক’ তুলে নেওয়ার অভিযোগ
ওষুধের দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ
দাঁতের চিকিৎসার সময় যে তথ্যগুলো গোপন করবেন না!
হাসপাতালের ল্যাবে ইলিশ মাছ, সিলগালা করে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট
সম-সাময়িক
-
ক্যারিয়ার1 month ago
জনস্বাস্থ্য ডেন্টিস্ট্রি বিভাগে পদসৃজন -(নিপসম)
-
স্বাস্থ্য প্রশাসন2 months ago
ঝিনাইদহে ১০ ডেন্টাল ও শেরপুরে ৭ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
-
জাতীয়2 months ago
ডেন্টাল সার্জন অবসরে, কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে চিকিৎসা দিচ্ছে টেকনিশিয়ান
-
জাতীয়1 month ago
প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল