Uncategorized
স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অন্যায় স্বার্থ এবং অধ্যক্ষ ডাঃ হুমায়ূন কবীর – ডাঃ মোঃ জাহিদ
Published
4 years agoon
ঢাকা ডেন্টাল কলেজে চলছে আন্দোলন। লাগাতার ক্লাস বর্জন, অবরোধে পেরিয়ে গেছে তিন সপ্তাহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে মূলত কলেজটির সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বেপারির ওএসডি’র আদেশে ক্ষুদ্ধ হয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ডাক্তার-শিক্ষার্থীরা। ওএসডি’র আদেশটি ন্যায় ছিল নাকি অন্যায় ছিল সেটা আমরা বাইরে থেকে বিবেচনা করতে পারি না; তবে একজন শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ তাঁকে ফেরানোর জন্য শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক এবং প্রশংসনীয়। শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষায় তারা ক্লাস বর্জন করেছেন, আর কতদিন রাখাকে সমীচীন ভাববেন সেটা একান্তই ঢাকা ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিবেচ্য বিষয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই। আমাদের বলার ক্ষেত্র ভিন্ন। কারন, আন্দোলনের প্রেক্ষাপট প্রথম থেকে আজ অবদি অনেক বদলে গেছে।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়োগ দিয়েছে অধ্যাপক ডা. হুমায়ূন কবির বুলবুল কে। ডা. হুমায়ূন কবির বুলবুল শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কেবল ডেন্টাল ইউনিট না, এই মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালের যে কারো কাছেই ডা. হুমায়ূন কবির বুলবুল একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ঢাকা ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ স্যারকে যতটা শ্রদ্ধা করে-ভালোবাসে; শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ডা. হুমায়ূন স্যারকে সম্ভবত কম ভালোবাসে না, শ্রদ্ধা করে না। ডিডিসি অভিভাবক শূন্য হওয়াকে যতটা বড় করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী ডেন্টাল বাস্তবিকপক্ষেই হয়েছে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি। ডিডিসিতে তাৎক্ষণিকভাবে একজন অধ্যাপক স্যারকে শূন্যস্থান পূরণ করতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে, সোহরাওয়ার্দী এখনো শূন্য। অধ্যাপক আবুল কালাম বেপারি ডিডিসির প্রতিষ্ঠাতা নন; সোহরাওয়ার্দী ডেন্টাল ইউনিট অধ্যাপক হুমায়ূন কবির বুলবুলের হাতে গড়া।
ডিডিসির শিক্ষার্থীদের কাছে যদি ডা. বেপারী স্যারের ওএসডি’র আদেশ অন্যায় মনে হয় তবে সোহরাওয়ার্দীর শিক্ষার্থীদের কাছে হুমায়ূন স্যারের বদলির আদেশ অন্যায় মনে হয়নি? সোহরাওয়ার্দীর ডাক্তার- শিক্ষার্থীরা কি পারত না ডিডিসির অনুরূপে আন্দোলন করতে?
সবই সম্ভব ছিল, এমনকি জুনিয়র শিক্ষার্থীরা এমন উদ্যোগ নিতে বসেছিল। রক্ত গরম করে সব হয় না। সিনিয়রদের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে আন্দোলন দানা বাঁধেনি। সিদ্ধান্তটা নিতান্তই সরকারি। সরকারি চাকরির প্রতিটা বিভাগে প্রতি মাসে হাজার হাজার বদলি- ওএসডি’র আদেশ আসে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে সেই আদেশ অমান্য করার কোনো সুযোগ নেই। আন্দোলন করে ক্লাস বন্ধ রাখা যাবে, ক্যাম্পাস গরম করা যাবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া যাবে; তবে বাস্তবতা বদলাবে না। তাছাড়া অধ্যাপক ডা. হুমায়ূন কবির বুলবুল ডেন্টাল সার্জনদের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান “বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি”র নির্বাচিত মহাসচিব। ডেন্টাল পরিবারের এই অভিভাবক যদি ডেন্টাল শিক্ষার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানের হাল ধরার সুযোগ পান তবে পরোক্ষভাবে হলেও আমরা উপকৃত হবো। পেশার বৃহত্তর স্বার্থে এই ত্যাগটুকু সোহরাওয়ার্দী ডেন্টাল ইউনিটের ডাক্তার- ছাত্ররা মেনে নিয়েছে। এক ধরনের অভিভাবক শূন্যতার মধ্যেই চলছে ক্লাস, চলছে পরীক্ষা।
ঢাকা ডেন্টালের শিক্ষার্থীরা সরকারি আদেশ মানতে না পেরে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ভালো কথা, সরকারি সিদ্ধান্তে যিনি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছেন তাঁকে অপমান করতে হবে কেন?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে যতটা না ডা. বেপারী স্যারের প্রশংসা আছে তারচেয়ে বেশি ডা. হুমায়ূন স্যারের প্রতি বিদ্বেষ-কুৎসা-গীবতে ভরপুর। এটা কেন হবে? আপনাদের আন্দোলন ডা. বেপারী স্যারকে ফিরিয়ে আনার, আপনার যদি ক্ষোভ থাকে তবে সেটা থাকা উচিত মন্ত্রণালয়ের উপর। আপনারা মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্যবস্তু না করে কেন ডা. হুমায়ূন স্যারকে বারবার আক্রমণের লক্ষ্য করে নিচ্ছেন? আন্দোলনের বর্তমান পরিস্থিতি এটাই নির্দেশ করছে, কোন স্বার্থান্বেষী গোষ্টির অন্যায় স্বার্থ রক্ষার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আবেগের কাধে বন্দুক রেখে প্রফেশনের প্রতি অন্তপ্রান একজন প্রফেসরের প্রশাসনিক দক্ষতা ও সাংগঠনিক ক্ষমতাকে গুলি করা হচ্ছে। ভূল পথে পরিচালিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ দেশ ও জাতির জন্য কখনোই মঙ্গলজনক হয় নি।
ডা. হুমায়ূন স্যার নিজের ইচ্ছায় নয়, সরকারি আদেশে অফিস করতে গিয়েছেন। একজন অধ্যক্ষ পদমর্যাদার এবং ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিবকে গেটের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে প্রফেশনের সম্মান বাড়ছে নাকি বাইরের মানুষদের কাছে পেশাকে হাসির পাত্র পরিণত করা হচ্ছে সেটা ভাবা উচিত ছিল। হুমায়ূন স্যার কখনোই আন্দোলনের বিপক্ষে কোনো বিবৃতি দেননি। তাঁকে আটকে রাখা, তার অফিসে তালা দেয়া নীতিগতভাবে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। সরকারি কাজে বাধা দেয়ার প্রতিক্রিয়ার তিনি চাইলেই প্রথমদিনেই প্রশাসনিকভাবেই বল প্রয়োগ করতে পারতেন। সেটা না করে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে কখনো বাইরে বসে, কখনোবা পরিচালকের কক্ষে বসে দৈনন্দিন কাজ করছেন। মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন তালা ভেঙে নতুন অধ্যক্ষকে অফিস করান। তখন প্রতিবাদ না করে পরের দিন আবার কেন তালা দিয়ে দিলেন আপনারা সেটাও বোধগম্য নয়। আন্দোলনকারীরা হয়তো নিজেদের কলেজে তালা দিচ্ছেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের প্রিয় শিক্ষকের অপমান। ডেন্টাল সোসাইটির অভিভাবকের সাথে এই তালা লাগানো আর ভাঙার খেলা খুব কুৎসিত দেখাচ্ছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলন এক সময় ঘোরে পরিণত হয়। ঘোর অবস্থায় কোনটা সুন্দর আর কোনটা কুৎসিত সেটা চোখে পড়ে না। আপনাদের সুন্দরের চোখ হয়তো কোন অন্যায় আবদারের কাছে পরাজিত। তাই সে দেখছে না।
আন্দোলনটা যদি মাঠ পর্যায়ে থাকতো তাহলেও আমাদের বলার কিছু থাকত না। কিন্তু ফেসবুক জুড়ে যে অপপ্রচার আর অযৌক্তিক আলোচনা সেটা হুমায়ূন স্যারের ছাত্র হিসেবে নয়, একজন ডেন্টাল সার্জন হিসেবে মেনে নেয়া কঠিন।
ডা. হুমায়ূন রাজনৈতিক ব্যক্তি, তিনি কলেজ চালাতে পারবেন না” – এরকম একটা কমন অপপ্রচার ফেসবুক জুড়ে দেখা যাচ্ছে। যারা এই বাক্যটি প্রচার করছেন তারা কি আদৌ ডেন্টাল প্রফেশনের কেউ সেটা নিয়ে প্রশ্ন চলে আসে। যে ব্যক্তিটির প্রচেষ্টার কারণে বাংলাদেশ নতুন ৬ টা সরকারি ডেন্টাল ইউনিট পেলো, তিনি কলেজ চালানোর জন্য অযোগ্য? এই মানুষটি জেনারেল পলিটিশিয়ান নন, তিনি এক দশক একটা ডেন্টাল ইউনিটের প্রধান ছিলেন। ডা. হুমায়ূন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত করবেন বলার আগে সোহরাওয়ার্দী ডেন্টাল ইউনিট ঘুরে দেখা উচিত ছিল। একটা নতুন মেডিকেল কলেজের সদ্য জন্ম নেয়া ডেন্টাল ইউনিটের যে চেহারা; অন্য ইউনিট সাপেক্ষে সেটাকে অবিশ্বাস্যই মনে হবে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট থেকে এ বছরের বিসিএস পরীক্ষায় ৩৫% শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ডা. হুমায়ূন কবির বুলবুল যদি অযোগ্য প্রশাসক হতেন তবে এই সাফল্য সম্ভব ছিল? প্রতি বছরের প্রফ পরীক্ষার ফলাফলে সোহরাওয়ার্দী ডেন্টাল ইউনিটে কখনোই ধস নামেনি। এই ইউনিট কখনো নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়নি। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে অফিস টাইমের বাহিরেও দায়িত্ব পালন করে যে মানুষটা সবার শেষে বাসায় যান, এই ক্যাম্পাসের সবাই এক বাক্যে বলবে সেটা ডাঃ হুমায়ুন কবির বুলবুল। আমরা যারা এই ব্যক্তিটিকে ইউনিট প্রধান হিসেবে পেয়েছি, আমরা জানি তাঁর এই অযোগ্যতার অপপ্রচার কত বড় প্রোপাগান্ডা!
গ্রাজুয়েশন পর্যায়ের শিক্ষার্থী কিংবা গ্রাজুয়েট হয়ে যাওয়ার পর অজস্র প্রমাণ থাকার পরও একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব একটা কলেজের ভালো অভিভাবক হতে পারবেন না- এমন ধারণা নিতান্তই শিশুতোষ ছাড়া আর কিছু নয়। যে রাজনীতি অর্জনের, যে রাজনীতি সমৃদ্ধির, যে রাজনীতিবীদ থেকে সমাজের জন্য ভালো কিছু পাওয়া যায় সেটাকে নেতিবাচকভাবে দেখার কিছু নেই। ঢাকা ডেন্টাল কলেজে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হুমায়ুন কবির বুলবুল সব জায়গায় লড়েছেন স্বাধীনতা বিরোধীদের বিপক্ষে, রাজনৈতিক সচেতন কোন ডেন্টাল সার্জনের অজানা থাকার কথা নয়। আজকে সোহরাওয়ার্দী ডেন্টাল ইউনিটের যে স্বাস্থ্যবান চেহারা সেটা শুধু একজন ব্যক্তি হুমায়ূনের অবদান নয়; সেটার মূলে বহুলাংশেই একজন বর্নাট্য রাজনৈতিক ও প্রফেশনের নেতার ভূমিকা আছে। ঢাকা ডেন্টাল কলেজের মতো দেশের ডেন্টাল চিকিৎসার মাতৃপ্রতিষ্ঠানে বরঞ্চ একজন রাজনৈতিক প্রভাবসম্পন্ন ব্যক্তিত্বকেই বেশি মানায়। এখানে আদায় করার মতো প্রচুর ক্ষেত্র আছে। পেশাগত স্বার্থে প্রত্যেক ডেন্টাল সার্জনই কোনো না কোনোভাবে ডিডিসির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকেন। রাজনৈতিক প্রভাবসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি অভিভাবকের আসনে না থাকলে তৃতীয় বিশ্বের সরকার থেকে কতটা আদায় করা সম্ভব সেটা যে কোনো বাস্তববাদী মানুষ মাত্রই বুঝতে পারার কথা।
হ্যাঁ, অধ্যাপক ডা. হুমায়ূন কবির বুলবুল স্যার আদায় করার ব্যাপারটার প্রমাণ বারবার রেখেছেন। কোনো বড় দায়িত্বে না থেকেই আদায় করেছেন ৬ টা ডেন্টাল ইউনিট। সোসাইটির দায়িত্ব হাতে নিয়ে প্রথমে বৃহৎ পরিসরে করেছেন “ওয়ার্ল্ড ডেন্টিস্ট ডে” তারপরেই আরো বড় পরিসরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মোলন কেন্দ্রে সাড়ে চার হাজার ডেন্টাল সার্জন নিয়ে ঘটিয়েছেন ডেন্টাল সার্জনদের সর্বকালের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৬৫৬ টি পোস্ট সৃষ্টি হয়েছে ডেন্টাল প্রফেশনে, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম ডেন্টাল পেয়েছে পূর্নাঙ্গ ডেন্টালের মর্যাদা। অনেকদিন ধরে পদোন্নতি ছাড়া যারা হতাশায় ছিলেন, এমন ৭৮ জন একসাথে পেয়েছেন প্রমোশন, প্রথমবারের মতো বিশেষ বিসিএসে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে ডেন্টাল সার্জনদের। অতীতের ব্যক্তিকেন্দ্রিক ডেন্টাল সোসাইটির নেতৃত্বে যেসব সাবেক সিনিয়র ডেন্টাল সোসাইটির নেতারা অভিমানে দূরে সরে গিয়েছিলেন, টানা ছয় বছরের অপ্রাশিত ডেন্টাল সোসাইটির জার্নাল প্রকাশের মাধ্যমে সবাইকে আবার সম্পৃক্ত করেছেন সোসাইটির অগ্রযাত্রায়। এভাবেই প্রফেসর হুমায়ুন কবির বুলবুল ঘটিয়ে চলেছেন পেশার বিস্তার, তার নেতৃত্বেই সকল ডেন্টাল সার্জন প্রফেশনের উন্নয়নে কাজ করছেন কাধে কাঁধ মিলিয়ে । ছোট্ট প্রাইভেট চেম্বারে ডেন্টাল পেশা যে গন্ডিবন্ধ সীমায় ছিল সেখান থেকে বের হয়ে এ পেশা এখন হয়ে গেছে বিশ্বমানের।
একজন রাজনৈতিক মানুষ যত সফল আর যত ভালো মানুষই হোন না কেন সবসময়ই একাংশের বিরাগভাজন থাকেন। এটাই বাস্তবতা, এটাকে খুব খারাপভাবে দেখার সুযোগও নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকার মধ্যেই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। একজন রাজনীতিবীদ হুমায়ূন কবির বুলবুলের সাথে একজন শিক্ষক কেন জানি গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। তাঁকে অপছন্দ করেন, তাঁর রাজনৈতিক দর্শন আপনার পছন্দ না? তাঁকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করুন। যুক্তি তর্ক চলতে থাকুক, সম্ভব হলে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিন। কিন্তু সরকারি চাকুরে হিসেবে সরকারি আদেশে যিনি শিক্ষকের বেশে নিজেরই সাবেক বিদ্যাপীঠে পা রাখতে গিয়েছেন তাঁকে এভাবে অপমান- অপদস্ত করে তালা দেয়াটা খুবই অন্যায় দেখায়। একজন শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন অন্য আরেকজন শিক্ষকে মর্যাদাহানির একমাত্র লক্ষ্যে পরিণত করা শোভনীয় নয়।
অধ্যাপক ডা. হুমায়ূন কবির স্যারকে তাঁর কাজের সুযোগ দেয়া হোক। ছাত্র হিসেবে আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি তিনি কাউকেই হতাশ করবেন না। একজন সুযোগ্য শিক্ষকের সকল যোগ্যতাই তিনি নিজের মধ্যে ধারণ করেন। যে চেয়ার তাঁর প্রাপ্য সেটাতে বসিয়ে তাঁকে বিচার করা হোক। তিনি যদি কাউকে হতাশ করেন, কারো প্রতি অন্যায় করেন তবে তাঁকে হঠানোর জন্য আন্দোলন করুন। তখন তাঁর কক্ষে তালা দিন। আপনাদের অভিযোগে সত্যতা থাকলে সবাইকেই পাশে পাবেন।
কোনো সুযোগ না দিয়েই একজন মানুষ ব্যাপারে এমন মিথ্যাচার, অপপ্রচার এবং তালা লাগিয়ে যে অপমান সেটা কেবল পেশাগত মানুষ হিসেবেই নয়, একজন নাগরিক হিসেবে যে কাউকে ব্যথিত করবে। পেশা এবং প্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষায় এই তালা দেয়া- তালা ভাঙার খেলা বন্ধ হোক। নিজের শিক্ষক প্রত্যেক ছাত্রের কাছেই শ্রদ্ধার। একজনকে সম্মান জানাতে গিয়ে আরেকজনকে সচেতন বা অবচেতনভাবে অপমান করার ইতি ঘটুক।
রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরাই আক্রান্ত হচ্ছেন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে। শীর্ষে ঢাকা ।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজের (এফডিএসআর) তথ্য অনুযায়ী, রোববার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগে মোট ৩৭১ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ৩০৫ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে- বরিশালে ৯ জন, চট্টগ্রামে ১৫, সিলেটে ৫, খুলনায় ১০, রংপুরে তিন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন।
ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ নামক একটি সংগঠনটি সারাদেশের চিকিৎসকদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরিসংখ্যান তুলে ধরছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৫ জনে। আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪১৮ জন। এতে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪১৬। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও নয়জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১২২ জনে।
Uncategorized
উত্তপ্ত ইউএসটিসি , ৩৪ স্বাস্থ্যকর্মীকে চাকুরিচ্যুতের প্রতিবাদে ধর্মঘট
Published
3 years agoon
April 26, 2020করোনাভাইরাসের থাবায় যখন সবাই দিশেহারা হয়ে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের দিকে চেয়ে আছে, ঠিক সেই সময়ে চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির অধীন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে ১৯ জন নার্স এবং ১১ জন ক্লিনার ও ৪ জন আয়াকে আকস্মিক চাকরিচ্যূত করেছে কর্তৃপক্ষ। চাকরিচ্যূতির কোন ব্যাখ্যা না দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে ‘কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে’।
চাকুরিচ্যুত করার প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ইউএসটিসি)’ প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা। রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল ১৯ জন নার্স এবং ১৫ জন আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে প্রথমে বেতন ভাতাও আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য বেতন পরিশোধ করা হলেও চাকুরিচ্যুত করার নির্দেশনা জারি রাখা হয়।
ইউএসটিসি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান চট্টগ্রামের একটি গণমাধ্যমে বলেন, ইউএসটিসিতে কোন শৃঙ্খলা নেই। এখানে দুই বার দুইজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডিরেক্টর হিসেবে এসেছিলেন। মালিকপক্ষের এসব অনিয়মের কারণে উনারা চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এরপর থেকে মালিকপক্ষ তাদের পোষা লোকজনকে চেয়ারে বসায়, যাদের কোন ব্যক্তিত্ব নেই। মালিকের কথায় উঠবে, বসবে। এখন তারা অভিজ্ঞ নার্স, আয়া, স্টাফদেরকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিদায় করার নোটিশ দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে অনেককে চাকরিচ্যূত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ৮ এপ্রিল চাকরিচ্যূতির নোটিশে আমরা অবাক হয়েছি। নোটিশে কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এভাবে কাউকে চাকরিচ্যূত করা যায় না। চাকরিচ্যূতদের অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমরা এর প্রতিবাদে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর পুলিশের কমিশনার, জেলা প্রশাসক, খুলশী থানাসহ, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি। করোনা পস্থিতিতে আমরা এই মুহুর্তে আন্দোলনে যেতে না পারলেও আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অগ্রসর হবো।
চাকরিচ্যূত নার্স হামিদা আক্তার বলেন, ‘আমরা ডিপ্লোমাধারী না হলেও আমাদের দিয়েই ইউএসটিসি সৃষ্টি। সরকারতো ডিপ্লোমা ছাড়া নার্স নিয়োগ দিতে নিষেধ করেছে। আমাদেরকে তো চাকরি থেকে বাদ দিতে বলেনি।’
চাকরিচ্যূতির শিকার আরেক নার্স রেহানা আক্তার বলেন, ‘আমার চাকরির বয়স ১৯ বছর। আমি বাইরে ডিপ্লোমা করেছি। নার্সিং কাউন্সিলের নাম্বার ছিল না। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা করেছি তাদের নাম্বার ছিল। সেটা ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেনি।’
এদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের মোট ৭৮ জন নার্স কর্মরত আছেন। যাদের বিদায়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী তাদের যোগ্যতায় ঘাটতি আছে। আগ থেকেই এদের নিয়োগ নিয়ে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আপত্তি ছিল। গত ডিসেম্বর থেকে তাদের বিদায় দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিপরীতে ডিপ্লোমাধারী ২২ জন নার্স আমরা নিয়োগও দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, নার্স-আয়া-স্টাফ মিলে যে ৩৪ জনকে বিদায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তাদের যাবতীয় পাওনা দিয়ে আমরা বিদায় দিচ্ছি। তাদের যে এসোসিয়েশনগুলো আছে ওগুলোর সাথে আমরা আগে বসেছি, তাদের সাথে বসেছি যে তারা কোন শর্তে যে চায়। সে সব শর্ত মেনেই তাদের আমরা বিদায় দিচ্ছি। তারা যাবতীয় পাওনা নিয়েই যাবেন। আর একমাস সময় আমরা হাতে রেখেছি। এই এক মাসের বেতনও তারা পাচ্ছেন।
জানা গেছে, ইউএসটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার ইসলাম প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী ডা. সাবা কাশ্মীরের নাগরিক। ৬ মাস আগে একই প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিবিএস পাস করে তিনিও ডিরেক্টর হিসেবে হাসপাতালে জয়েন করেছেন। এই আদেশের বিষয়ে অনেকে আঙ্গুল তুলছেন ডাঃ সাবা’uর দিকে। কিন্তু আরেক চিকিৎসক ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এসব সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান, নার্সিং ইন্সটিটিউটসহ অন্য অথরিটির সম্মতিতে গ্রহণ করা হয়। একজনের ওপর চাপানোর কোন সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মিনহাজুর রহমান বলেন, কোন কারণ দর্শানো নোটিশ এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া কথায় কথায় চিকিৎসক, নার্স স্টাফ চাকরিচ্যূত করা ইউএসটিসির জন্মগত স্বভাব। করোনা সংকটে তারা অসচ্ছল স্টাফদের চাকরিচ্যূত করাটা অন্যায়। আমরা এই আদেশ প্রত্যাহার চাই।
বিষয়টিকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন দাবি করে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু বলেন, করোনা সংকটে পুরো জাতি যখন একে অপরের পাশে দাঁড়াচ্ছে, সেখানে ইউএসটিসি তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ নার্স, স্টাফ ছাঁটাই করছে— এটা অমানবিক, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধও। কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যূতির এই আদেশ প্রত্যাহার না করলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াবে।
Uncategorized
তিন শর্তে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার নির্দেশ
Published
3 years agoon
April 26, 2020রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে শর্তসাপেক্ষে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
২৫ এপ্রিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সহকারী স্বাস্থ্য-১ শাখার উপসচিব মো. আবু রায়হান মিয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তিনটি শর্তসাপেক্ষে হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসাসেবা চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করা হয়।
শর্ত তিনটি হলো-
১. হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সাথে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে হাসপাতালটি শুধু করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য পরিচালিত হবে।
২. হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য পরিচালনা ব্যয় নির্ধারণ করা যাবে
৩. রোগীর চিকিৎসার ব্যয়বাবদ খরচ সরকার বহন করবে
Uncategorized
কিট আসুক না আসুক, কাউকে ঘুষ দেবে না গণস্বাস্থ্য
Published
3 years agoon
April 26, 2020করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যে কিট উদ্ভাবন করেছে, সেটা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর নেয়নি উল্লেখ করে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে। তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ করেনি। আমরা জনগণের স্বার্থে শুধু সরকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কিটটি কার্যকর কি-না, তা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি পদে পদে পায়ে শিকল দেয়ার চেষ্টা হয়েছে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেন।
এর আগে শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে একই জায়গায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমন্ত্রণ জানানোর পরও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এ কিট গ্রহণের জন্য যায়নি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান। পরদিনই এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন এটি জমা দিতে যান। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর তা গ্রহণ করেনি। এমনকি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনজনের একজনকে ওষুধ প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রবেশও করতে দেয়া হয়নি।
‘কর্তৃপক্ষ জমা নেবেন না। আমরা গিয়েছিলাম, তারা জমা নেননি। বললেন যে সিআরও নিয়ে আসেন। তারপরে বললেন, এটা আপনারা ভেরিফিকেশন করে আনেন সিআরও থেকে। সিআরও হলো চুক্তিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ওখানে পয়সা দিতে হবে। কত খরচ লাগবে, তা উনারা (সিআরও) বাজেট দেবেন। পরে আইসিডিডিআর,বি থেকে ভেরিফিকেশন করিয়ে আনার কথা বলেন। আইসিডিডিআর,বি লকডাউন থাকায় তারা বিএসএমএমইউ, আইইডিসিআর কিংবা আর্মি প্যাথলজি ল্যাবরেটরি থেকে কার্যকারিতা আছে কি-না পরীক্ষা করে দেখার প্রস্তাব দিলেও তা মানা হয়নি।’
তিনি বলেন, জাতির এ দুর্যোগের সময় যুগান্তকারী আবিষ্কার এ কিট কাজে লাগানো যাচ্ছে না। যেখানে ইরানে এ ধরনের কিট প্রতিদিন ১০ লাখ তৈরি ও ব্যবহৃত হচ্ছে, সেখানে তারা কিট জমাই রাখেননি। যে কোনো ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষাতে আপত্তি নেই। কিন্তু জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে তারা এখন বাজেট ঠিক করবেন, তারপর সিআরও’র মাধ্যমে রিপোর্ট নেবেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে, কিভাবে তারা ব্যবসায়িক স্বার্থকে রক্ষা করছেন। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অনৈতিক কাজ করছে, দেশের ক্ষতি করছে। তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে রেখে চলেন, তাতে তাদের লেনদেনে সুবিধা হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ প্রধান বলেন, প্রথমে আমাদের বললো, অনুমোদন নেই দেখে আমরা আসতে পারব না। আমরা তো আপনাদের হাতে দিতে চাই, যাতে আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আমাদের গতকাল বলা হলো, তারা আসবেন না। ঠিক আছে, আজকে আমরা গেলাম। আজকে গণস্বাস্থ্যের ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন গেলেন। তারপরও দেখেন, কেমন আমলাতান্ত্রিকতা। দুজনকে ঢুকতে দেবে, আরেকজনকে দেবে না। অথচ বাইরের তিনজন লোককে ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। তাদের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট লোকদের ভেতরে বসিয়ে রেখেছেন। ফিরোজ, তিনি হেড অব এ ডিপার্টমেন্ট অব নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পদমর্যাদায় ওই ডিজি সাহেবের সমতুল্য তিনি। এ জাতীয় লোককে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি যুক্তিতর্কে হেরে যাওয়ার ভয়ে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গতকাল আমরা এখানে কিট হস্তান্তরের একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, এটার অনুমোদনের জন্য। এটা অনুমোদন করার দায়িত্ব হলো ওষুধ প্রশাসনের। দুর্ভাগ্যবশত, ওষুধ প্র্রশাসন এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, তারা না ফার্মাসিস্ট, না ফার্মাকোলজিস্ট। তার ফলে এই জিনিসগুলির গুরুত্ব সেভাবে তারা উপলব্ধি করতেই সক্ষম হচ্ছেন না। তারা সম্পূর্ণ ব্যবসায়ী স্বার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছেন।
‘বিজ্ঞানীরা জনস্বার্থে এটি আবিষ্কার করেছেন। এটি ব্যবহারে যত দেরি হবে তত জনগণের ক্ষতি বেশি হবে। এ গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের গুরুত্ব আমরা ওষুধ প্রশাসনকে বোঝাতে পারছি না। সিআরও নামের এজেন্টকে পরীক্ষার জন্য ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। আমরা চাই এটির মূল্য ২৫০ থেকে ২০০ টাকা নামাতে, আর তারা ব্যবসায়িক স্বার্থে নানা অজুহাতে ৫০০ টাকা দাম করতে চায়। ওষুধ প্রশাসন থেকে বলা হয়, দাম বাড়লে বাড়বে। এটা কি জনস্বার্থে কথা হলো? আমার ধারণা একটা শ্রেণী সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে।’
আপনারা গতকাল কিট হস্তান্তর করা হবে বলেছিলেন কেন? এ প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কিটটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছি। এখন আমার কাছে কিট থাকলেও সরকারের অনুমোদন ছাড়া আমরা পরীক্ষা করতে পারবো না।
তিনি বলেন, গত ১২ এপ্রিল কিটের যথার্থতা প্রমাণের জন্য সরকারের কাছে রক্ত চেয়েছি। কিন্তু পেয়েছি ২২ এপ্রিল, তাও আবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপের পর। আমার মতো লোক ২৫ বার ফোন করেছি।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আপনাদের সকল ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করে দেবো, তবে ঘুষ দেবো না। গণস্বাস্থ্যের ৪৮ বছরে কাউকে ঘুষ দেইনি, এতে প্রোডাক্ট বাজারে আসুক না আসুক, আমরা ঘুষ দেইনি, দেবো না। এই দুর্নীতির অংশীদার হইনি, হবো না। আমরা আন্দোলন করে যাবো।
মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪১৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৪১৬ জনে। সেইসঙ্গে করোনায় আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জনে।
রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৭৬ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। ৪১৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন। সুস্থ হয়েছে ৯ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মত তিনজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য জানায় আইইডিসিআর।
এরপর ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
জিডিএফ বর্ষপূর্তি ও সাইন্টিফিক সেমিনারের পোস্টার উন্মোচন
চিকিৎসক বুলবুল হত্যা: পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট
প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল
জনস্বাস্থ্য ডেন্টিস্ট্রি বিভাগে পদসৃজন -(নিপসম)
অ্যান্টিবায়োটিকের মোড়ক হবে লাল, যথেচ্ছ ব্যবহার রোধে হচ্ছে আইন
দাউদকান্দিতে অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের রমরমা বাণিজ্য
৭ ছাত্র নিরুদ্দেশ: চিকিৎসক শাকিরের সহযোগী ভিলার স্বীকারোক্তি
চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের হুমকি দিয়ে ডেন্টাল চেম্বারে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি!
ডা: মোত্তাকিন আহমেদ স্মরণে বিএসপিডি’র দোয়া মাহফিল
চিকিৎসকদের জন্য লিডারশীপ এক্সেলেন্সি শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
স্বাস্থ্য খাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব
সংস্থা বলছে জঙ্গি – পরিবারের দাবি ডাঃ শাকির নির্দোষ
দেশে রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রম কেউ ঠেকাতে পারবে না – স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ডেন্টাল সার্জন অবসরে, কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে চিকিৎসা দিচ্ছে টেকনিশিয়ান
সিআইডি পরিচয়ে ‘চিকিৎসক’ তুলে নেওয়ার অভিযোগ
ওষুধের দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ
দাঁতের চিকিৎসার সময় যে তথ্যগুলো গোপন করবেন না!
হাসপাতালের ল্যাবে ইলিশ মাছ, সিলগালা করে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট
সম-সাময়িক
-
ক্যারিয়ার1 month ago
জনস্বাস্থ্য ডেন্টিস্ট্রি বিভাগে পদসৃজন -(নিপসম)
-
স্বাস্থ্য প্রশাসন2 months ago
ঝিনাইদহে ১০ ডেন্টাল ও শেরপুরে ৭ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
-
জাতীয়2 months ago
ডেন্টাল সার্জন অবসরে, কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে চিকিৎসা দিচ্ছে টেকনিশিয়ান
-
জাতীয়1 month ago
প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিল