Universiti Sains Malaysia তে কর্মরত সিনিয়র প্রভাষক ডাঃ নাফিজ বিন জামায়েত স্যারের সাথে ডেন্টাল টাইমস এর কথোপকথনের পুরো সময়টি জুড়ে ছিলো শাহ সাইফ জাহান ও তানজিমুল রিফাত। কথোপকথনের চুম্বক অংশটি রইল আপনাদের জন্য। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
ডেন্টাল টাইমস : স্যার, আপনার ছাত্র ও কর্মজীবন সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন। ডাঃ নাফিজ : প্রথম থেকে যদি বলি তাহলে বলতে হয় আমার জন্ম হচ্ছে ১৯৮৫ সালে । আমার বাবা ছিলেন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা। আমিই একমাত্র সন্তান। ২০০১ সালে এসএসসি এবং ২০০৩ সালে এইচএসসি পাশ করেছি। এরপর বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ থেকে বিডিএস পাশ কারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে MPH প্রোগ্রাম শুরু করি । ওখান থেকে থাইল্যান্ডের মহিদুল বিশ্ববিদ্যালয়ে Maxillofacial Prosthodontics এ পোস্টগ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করি। তারপর দেশে ফিরে ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এর ডেন্টাল ইউনিটে যোগ দান করলাম। পরবর্তিতে সেখান থেকে মালয়েশিয়াতে চলে আসি। বর্তমানে আমি ও আমার স্ত্রী মালয়শিয়ার Universiti Sains Malaysia-এ কর্মরত আছি।
ডেন্টাল টাইমস : স্যার, মহিদুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে যদি কিছু বলতেন। ডাঃ নাফিজ : আসলে আমাদের সময় তখন ইন্টারনেটের তেমন একটা প্রসার ছিল না কিন্তু এখন সব তথ্যই ইন্টারনেটে পাওয়া যায় । যেমন: কখন আবেদন করতে হবে, ভর্তি ফর্ম, ভর্তি পরিক্ষার তারিখ সবকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের website এ গেলেই সব জানতে পারবে । আবেদন করা ও ফি জমা দেওয়ার পর ভর্তি পরীক্ষার এর জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়া লাগবে। তারপর ভর্তি এর রেজাল্টের উপর নির্ভর করে।
ডেন্টাল টাইমস : স্যার, আপনি কোনো স্কলারশিপ পেয়েছিলেন নাকি নিজ অর্থায়নে পড়ালেখার ব্যয়ভার বহন করছেন ? ডাঃ নাফিজ : আসলে আমি ক্লিনিক্যাল সাবজেক্ট এ আগ্রহী ছিলাম কিন্তু ক্লিনিক্যাল সাবজেক্টে তেমন স্কলারশিপ নেই বললেই চলে। তবে আমি সেখানে ভর্তি পরীক্ষায় এ চান্স পাওয়ার পর তারা আমাকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ৭৫% ছাড় দেয়। বাকি ২৫% আমার বহন করা লেগেছে।
ডেন্টাল টাইমস : স্যার এই ২৫% এর আনুমানিক খরচ কেমন ছিলো ? ডাঃ নাফিয : ২৫% এর জন্য আমাকে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেয়া লাগেছিলো।
ডেন্টাল টাইমস : ওখানকার পড়াশোনার মান নিয়ে যদি কিছু বলতেন ? ডাঃ নাফিজ : মানের কথা যদি বলতে হয় তাহলে বলব খুবই ভালো। একজন ডাক্তারকে বই পুস্তকের বাইরেও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রোগ ও রোগীর মুখোমুখি হতে হয় । মহিদুল বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে নতুন নতুন ধরণের রোগ ও পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়, এটা অনেকটা বলতে পারো লিডারশিপ তৈরি করা।
ডেন্টাল টাইমস : মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পোস্ট গ্রাজুয়েশনের সুযোগ কেমন ? ডাঃ নাফিজ : মালয়েশিয়াতে বর্তমানে কিছু সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি তারা সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পায়। একজন শিক্ষার্থী ইচ্ছা করলে ইউনিভার্সিটির ডরমেটরি অথবা আলাদা বাসা নিয়ে থাকতে পারে। এডমিশনের জন্য BDS Certificate, BMDC registration number, Professors recommendation, IELTS minimum 6.5 লাগবে।
ডেন্টাল টাইমস : মালয়েশিয়াতে স্কলারশিপের সুযোগ কেমন? ডাঃ নাফিজ : ক্লিনিক্যাল সাবজেক্টে স্কলারশিপ না থাকলেও রিসার্চ কাজের জন্য স্কলারশিপ পাওয়া যেতে পারে । তবে এ জন্য অধ্যাপকদের ইমেইল পাঠিয়ে রাজি করতে হয়। যদি অধ্যাপক রাজি থাকে তাহলে স্কলারশিপ পাওয়া যাবে। ৫/৬ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। তবে PhD লেভেলে স্কলারশিপের সুযোগ মাস্টার্স এর চাইতে বেশী। আগে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় BDS এর পর সরাসরি PhD এর সুযোগ দিত কিন্তু এখন সুযোগ খুবই সীমিত।
ডেন্টাল টাইমস: স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য কি কি বিষয় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে? ডাঃ নাফিজ : ভালো CV, Extra curriculum activities, Publication, Social work এগুলো স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখতে পারে। যা কিছুই কর সবকিছুর যাতে ডকুমেন্ট থাকে ।
ডেন্টাল টাইমস: স্যার সবশেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ কি? ডাঃ নাফিয : উপদেশ বা পরামর্শ হিসেবে বলতে শুধু একটা কথাই বলব – ” Act locally but think globally ।”চিন্তা ভাবনাকে প্রসার করো সাফল্য আসবেই।
ডেন্টাল টাইমস: আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার। ডাঃ নাফিজ : তোমাদেরকেও ধন্যবাদ। ডেন্টাল টাইমসের মতো এমন একটা সুন্দর প্রচেষ্টা দেখে খুবই ভালো লাগলো। ডেন্টাল টাইমস সামনে আরো এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা রইল।
করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখীতে দেশে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন আসতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আজই হয়তো এর ডিক্লিয়ারেশন আসতে পারে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিভিন্ন টাইপের লকডাউন আসবে।’
সেটা কেমন হবে জানতে চাইলে বলেন, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দারবানে যাওয়া আসা বন্ধ হবে। বিয়ের অনুষ্ঠান, পিকনিক, ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করার নির্দেশনা আসতে পারে। যেখানে জনসমাগম হয় সেসব জায়গায় রেস্ট্রিকশন আসতে পারে-এভাবেই বিভিন্ন ধরনের রেস্ট্রিকশন আসবে। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রাণলয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এ বিষয়ের প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ২২ দফার যে প্রোপোজাল গেছে, সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব রয়েছে। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দেখে যেটা ভালো মনে করবেন সে অনুযায়ী নির্দেশনা জারি করবেন। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন থাকবে।’
প্রস্তাবানার মধ্যে আছে:
১. সব ধরনের (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। কমিউনিটি সেন্টার/কনভেনশন সেন্টারে বিয়ে/জন্মদিন/সভা/সেমিনার ইত্যাদি অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা।
২. বাড়িতে বিয়ে/জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
৩. মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ন্যূনতম উপস্থিতি নিশ্চিত করা (ওয়াক্তিয়া নামাজে ৫-এর অধিক নয় এবং জুমার নামাজে ১০-এর অধিক নয়)।
৪. পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র/সিনেমা হল/থিয়েটার ও সব ধরনের মেলা বন্ধ রাখা।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ‘বিটকরোনা’ নামের করোনা শনাক্তকারী কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা টুল তৈরি করেছে দেশি সফটওয়্যার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন । তাদের দাবি, করোনাবট এবং এক্স-রে ইমেজ অ্যানালাইসিস টুল উন্নত উপায়ে ও দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত কি না, তা নিজে থেকে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
ইজেনারেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবহারকারী নিজেই কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত কি না, সেই সিদ্ধান্ত যাতে নিতে পারেন, এ জন্য ইজেনারেশন করোনাবটকে সেলফ-টেস্টিং টুলস হিসেবে তৈরি করেছে। এটি ব্যবহারকারীকে নিজে থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে আইসোলেশনে থাকতে উৎসাহ দেয়।
এটি স্বাস্থ্যকর্মীদের সময় বাঁচাতে পারে। ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন বুঝতে পারা এবং সেটির যথাযথ উত্তর দেয়ার জন্য করোনাবটটিতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা হয়েছে। বটটি ইংরেজি, বাংলা এবং বাংলা ভাষাকে ইংরেজি অক্ষরে লেখা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
এর পাশাপাশি ইজেনারেশন মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এক্স-রে ছবি বিশ্লেষণী টুল তৈরি করেছে যা বুকের এক্স-রে ছবি দেখে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে কার্যকর হতে পারে। এই টুল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা সুস্থ আছেন কিনা, মৃদু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কিনা অথবা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সেটি জানা যাবে। ইজেনারেশন বিটকরোনা (http://beatcorona.egeneration.co/) ওয়েবসাইটে গিয়ে এক্স-রে ছবি আপলোড করলে টুলটি ফলাফল দেখাবে
ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, ‘ইজেনারেশন বিগত দুই বছর ধরে স্বাস্থ্যসেবা সফটওয়্যার ও অ্যানালিটিক্স নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে আসছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির যে সক্ষমতা আমাদের তৈরি হয়েছে, সেটি ব্যবহার করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের এই সল্যুশনগুলি আমরা স্বল্প সময়ে তৈরি করতে পেরেছি।’
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক নারীসহ আরও দুইজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা হলেন, উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের কামাড়পাড়া গ্রামের ৫৫ বছরের এক নারী ও জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা গ্রামের ৩০ বছরের এক যুবক।
আক্রান্ত ওই নারী ঢাকায় বোনের বাসায় এবং যুবক ঢাকায় জুয়েলারি দোকানে থাকতেন। ২৬ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠান। এরমধ্যে তাদের ওই দুইজনের করোনা পজিটিভ ও চারজনের নেগেটিভ আসে বলে স্বাস্থ্যকর্মী এজাজুল হক হাসান রাত সাড়ে এগারোটায় জানিয়েছেন।
এর আগে ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের পলি ক্লিনিকের সিনিয়র ওটি বয় অখিল চন্দ্র সরকারের করোনা পজিটিভ হলে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে ২৪ এপ্রিল বাড়ি আসেন।
এ পর্যন্ত মির্জাপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা ১৫২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে ১৪৯ জনের করোনা নেগেটিভ ও ৩ জনের পজিটিভ আসে।
উপজেলা প্রশাসন রাতেই তাদের ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো এবং আশপাশের অর্ধশত বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চিকিৎসক-নার্সসহ ৬৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মী মরণব্যাধী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা দেশের মোট আক্রান্তের ১১ ভাগ। আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
সংগঠনটির মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে বাংলাদেশও গভীর সংকটের সম্মুখীন। আজ সোমবার পর্যন্ত দেশের করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯১৩ জন এবং মারা গেছেন ১৫২ জন।
এতে আরও বলা হয়েছে, করোনা যুদ্ধের সম্মুখ সারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ সেবাদানকারীগণ আশঙ্কাজনকভাবে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এ পর্যন্ত ২৯৫ জন চিকিৎসক, ১১৬ জন নার্স ও ২৪৯ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীসহ চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬০, যা দেশের মোট আক্রান্তের ১১ ভাগ।
চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবাদানকারী ব্যক্তিগণ এই হারে আক্রান্ত হতে থাকলে আগামীতে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের প্রতি নিম্নলিখিত প্রস্তাবনাসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানায় বিএমএ। এগুলো হলো:
১. দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড হাসপাতালে নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য সঠিক মানের পিপিই, এন-৯৫ বা এর সমমানের মাস্ক প্রদান করা জরুরি। ২. নন-কোভিড হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে ট্রায়াজ সিস্টেম চালু করে সেখানে কর্মরত সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত পিপিই, এন-৯৫ বা সমমানের মাস্ক প্রদান নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। ৩. সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন, প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ ও হাসপাতালে যাতায়াতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি।
দেশে মহামাহারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ১৫২ জনের মৃত্যু হলো। আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৯৭ জন। ফলে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে তিন হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৪০১টি। নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৪৯৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও সাতজন, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫২ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও নয়জন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩১ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ সাত হাজার। তবে পৌনে নয় লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপের মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায়, বিশেষত ঘরে রাখা। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশের টহল জোরদার করেও মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না বিধায় করোনাভাইরাসের বিস্তার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।