স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলনের পর এবার কর্মবিরতির ঘোষণা দিলেন সরকারি স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ দুই পেশাজীবী- মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে তারা দেশজুড়ে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে এই দুই পেশাজীবী কর্মীরা ১১তম গ্রেডে নিয়োগ পান।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যরোধী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. রিপন শিকদার।
সংবাদ সম্মেলনে রিপন শিকদার বলেন, ২০১৫ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড নির্ধারণ করলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি। অন্যদিকে ২০১৮ সালে কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের ১০ম গ্রেড দেওয়া হলেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা এখনও তা থেকে বঞ্চিত। তার ভাষায়, এটি ‘চরম বৈষম্য’।
সংগঠনটি চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ধাপে ধাপে পালন করা হবে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী-
মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়ার হয়েছে। এর মধ্যে যদি না মেনে নেওয়ার হয় তাহলে আগামী শনিবার ও রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবে তারা।
আগামী ১ ডিসেম্বর (সোমবার) সারাদেশের সব সরকারি–বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধদিবস কর্মবিরতি। তারপর ৪ ডিসেম্বর পূর্ণদিবস কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
নেতারা আরও জানান, এসব উদ্যোগের পরও যদি দাবি বাস্তবায়িত না হয়, তবে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি চলবে।
আসন্ন কর্মসূচি সফল করতে দেশজুড়ে মেডিকেল কলেজ, সরকারি–বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ সব প্রতিষ্ঠানের টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
