মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল চেয়ারটি গত চার বছর ধরে বন্ধ। ১০ হাজার টাকার অভাবে ৭ লাখ টাকা মূল্যের চেয়ারটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ডেন্টাল সার্জন থাকার পরও চেয়ারটি নষ্ট থাকায় দাঁতের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।
উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দাঁতের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে দরিদ্র রোগীরা সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু ডেন্টাল চেয়ারটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। ফলে বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও দীর্ঘদিনেও কোনো প্রতিকার নেই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২০ সালের শেষের দিকে ডেন্টাল ইউনিটে চেয়ারটি স্থাপন করা হয়। এর তিন মাস না যেতেই টেম্পার নষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক সার্কিট জ্বলে যায়। তারপর থেকে ৪ বছর ধরে চেয়ারটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ইতিপূর্বে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চেয়ারটির উপকরণের চাহিদাপত্র দেওয়া হলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। মাত্র ৮-১০ হাজার টাকা হলেই চেয়ারটি চালু করা যায়। কিন্তু হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের গাফলতির কারণে তা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডেন্টাল ইউনিটের সার্জন ডা. দুলালী সাহা বলেন, ‘আমি এ হাসপাতালে যোগদান করেছি প্রায় দুবছর। শুনেছি আরও আগে থেকে ডেন্টাল চেয়ারটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। দাঁতের চিকিৎসা সার্জারিনির্ভর হওয়াতে পরিপূর্ণ চিকিৎসাসেবা দিতে গেলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকতে হবে।’ তাই দ্রুত মেশিনটি চালুর দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া বলেন, ‘মেশিনটির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ডেন্টাল কাউন্সিলে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলেই এটি চালু করা হবে।’