২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে আগামীকাল রোববার (২৯ ডিসেম্বর)। আবেদনের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার সেকেন্ড টাইম ভর্তিচ্ছুদের দুই পদ্ধতিতে ৩ ও ৬ নম্বর কর্তন করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগ্রহী প্রার্থীদের ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী ২০২১ সালের পূর্বে এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা আবেদন করার যোগ্য নন।’
প্রার্থীকে এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে অন্তত জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থাকতে হবে। এছাড়া, এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ থাকতে হবে।
উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের জন্য এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থাকতে হবে। তবে, কোনো একক পরীক্ষায় যদি জিপিএ ৩.৫০ এর কম হয়, তবে তারা আবেদনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না। সকল প্রার্থীর জন্য, এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ থাকতে হবে, না হলে তারা আবেদনের যোগ্য হবেন না।
লিখিত ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকবে, যার প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর করে, ফলে মোট নম্বর হবে ১০০। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন হবে: জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ১০। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য ১ নম্বর প্রদান করা হবে।
কোনো প্রশ্নের একাধিক উত্তর দিলে তা ভুল হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীরা দেশে অথবা বিদেশে বিডিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ কে মোট ১০০ নম্বর হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ হবে ৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ), এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ হবে ৫০ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান ও এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাপ্ত জিপিএ অনুযায়ী নম্বর যোগফল করে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।