টাঙ্গাইলের সখীপুরে শিক্ষক দম্পতির যমজ মেয়েদের ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। রোববার (২ মার্চ) সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার (২০২৪-২৫) ফলাফলে যমজ দুই বোন উত্তীর্ণ হয়েছে। ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে শাহনা ৩১৮তম এবং আফসানা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে ৪২৬তম অবস্থানে রয়েছে।
টাঙ্গাইল সখীপুর উপজেলার ৩নম্বর ওয়ার্ডের মিলপাড় এলাকায় বেড়ে ওঠা যমজ বোন সামিয়া জাহান আফসানা ও সাদিয়া জাহান শাহানা। এ বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় দেখিয়েছেন সাফল্য। ‘ডি’ ইউনিটে প্রথম হয়েছে আফসানা এবং ‘এ’ ইউনিটে ৭৬তম হয়েছে শাহানা। শিক্ষক দম্পতি বাবা আল আমীন ও আফিয়া আক্তারের ঘর আলো করে ২০০৬ সালে জন্ম নেয় তারা।
আফসানা-শাহানার বাবা আল আমীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, স্কুল জীবনে দুই বোনই সখীপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। দুই বোনের জন্মসময় ও চেহারার মিল থাকার পর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফলাফলেও এত মিল থাকাটা তাদের দুই বোনকেও অবাক করে বলে জানায় তারা।
আফসানা ও শাহানা বলেন, আমরা একসঙ্গে মায়ের পেটে ছিলাম। এক সঙ্গে বড় হয়েছি। সারা জীবন একই বিছানায় ঘুমিয়েছি। একই টেবিলে, একই বিদ্যালয়ে ও একই কলেজের বেঞ্চে পাশাপাশি বসে পড়াশোনা করেছি। এখন থেকে স্বপ্নপূরণে ও ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে আমাদের একজনকে দেশের এক প্রান্তে অর্থাৎ চট্টগ্রামে আরেকজনকে দেশের অপর প্রান্ত রাজশাহীতে থাকতে হবে। অনেকদিন পর আমরা একজন অপরজনকে ছেড়ে চলে যাব শুনে কষ্ট লাগছে।
যমজ দুই বোনের বাবা আল আমীন উপজেলার বড়চওনা-কুতুবপুর কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং জামায়াতে ইসলামীর সখীপুর উপজেলা শাখার আমির। মা আফিয়া আক্তার স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
আল আমীন বলেন, ওদের দুই বোন যাতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারে এজন্য মাইগ্রেশন করে একই ডেন্টাল কলেজে ভর্তি করার জন্য চেষ্টা করা হবে। আপনারা সবাই আমার মেয়েদের জন্য দোয়া করবেন। তারা যেন ভালো মানুষ হতে পারে।
সখীপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ওরা আমাদের বিদ্যালয়ে থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। ওরা আমাদের বিদ্যালয়ের গর্ব। এবার ওই দুই বোন ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে শুনে খুব খুশি হয়েছি।