দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। পরিকল্পনা অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরবর্তী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। সে হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে মেডিকেল শিক্ষায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে সেটি দূর করতে ভর্তি পরীক্ষা এগিয়ে আনার বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক থেকে দুই মাসের মধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করবো। এরপর মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
জানা গেছে, আগামী ৩০ জুন থেকে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। ১১ আগস্ট পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে ১১ অক্টোবরের মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সব ক্ষেত্রেই জট লেগে আছে। এই জট থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিকল্প নেই। চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা মার্চের ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা এক মাস এগিয়ে ফেব্রুয়ারিতে আয়োজন করা হয়। আর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার একদিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। মোট এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করেন।
পরীক্ষায় পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। পুরুষ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৪৫৭, যা উত্তীর্ণ প্রার্থীর ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। উত্তীর্ণ নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৬৬, যা উত্তীর্ণ প্রার্থীর ৫৯ দশমিক ০২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০টি। আর ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ছয় হাজার ২৯৫ টি।