চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার চমেক হাসপাতালে আয়োজিত স্মরণসভা ও মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর আবিদুর রহমানকে দফায় দফায় পিটিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদুর রহমান মারা যান। আবিদুর হত্যাকান্ডের জন্য ছাত্রলীগের ক্যাডারদের দায়ী করে অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমানকে ছাত্রদল করার অপরাধে মফিজুর রহমান জুম্মা ও সোহেল পারভেজ সুমনের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ ক্যাডার আটক করে প্রথমে ছাত্র সংসদের টর্চার সেলে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে ছাত্র সংসদে, দ্বিতীয় দফায় হোষ্টেল ক্যান্টিনের সামনে ও তৃতীয় দফায় প্রধান ছাত্রাবাসের বি–২০ নম্বর রুমে নিয়ে গিয়ে আবিদুর রহমানকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ২০১১ সালের ২১ অক্টোবর আবিদ মারা যান।
আরো পড়ুন : ফাহাদের মতো পরিণতি হয়েছিলো বিডিএস শিক্ষার্থী আবিদের
ডা. তৌকির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, আবিদ হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি। এই বিচার যাতে হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রদানের তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রিগে. জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। আবিদের মা মোছাম্মৎ ছৈয়দুন্নেছা সন্ত্রাসীদের বিচার ও বিএমডিসি সার্টিফিকেট বাতিলের দাবি করেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ডা. ঈসা চৌধুরী, ডা. সারোয়ার আলম, ডা. ইমরোজ উদ্দিন, ডা. মাহমুদুর রহমান, ডা. তানভীর হাবীব তান্না প্রমুখ।