পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালায় তামাক সংশ্লিষ্ট শিল্পকে লাল শ্রেণির পরিবর্তে তুলনামূলক কম ক্ষতিকর কমলা শ্রেণিভূক্ত করা হয়েছে। যা তামাকের ক্ষতি সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও কোম্পানিকে ব্যবসায়িক সুবিধার সুযোগ দেবে। যে কারণে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশে তামাকের ক্ষতি বিবেচনায় পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ পুনরায় সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসকে কেন্দ্র করে পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা), বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট’র সম্মিলিত উদ্যোগে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় পরিবেশবাদীরা এ দাবি জানান।
সভায় মূল প্রবন্ধে বলা হয়, তামাক কোম্পানিকে কমলা শ্রেণীভূক্ত হওয়ায তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার প্রত্যয়ে এমন ছাড় দেওয়া অযৌক্তিক। স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির ক্ষতি বিবেচনায় তামাককে পুনরায় ‘লাল’ শ্রেণিতে আনা প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে পবার নির্বাহী সভাপতি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা.লেনিন চৌধুরী বলেন, তামাক কারখানাকে কমলা শ্রেণীতে আনায় দায়ীদের জবাবদিহি করা প্রয়োজন। তাবিনাজ-এর আহবায়ক ফরিদা আখতার বলেন, জর্দা-গুলসহ সকল ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের কারখানা স্থাপন সহজ করা হচ্ছে। এদিকে সরকারের নজর দিতে হবে।
সভায় বিগত দিনের মতো তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন করে শক্তিশালী করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে পুনরায় তামাককে লাল তালিকায় আনতে বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান করা হয়। – সংবাদ বিজ্ঞপ্তি