বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কর্তৃক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাক্টিশনার হিসেবে বিবেচনা করার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের লংমার্চ টু বিএমডিসি শুরু হয়েছে। কর্মসূচি থেকে নয় দফা দাবি তুলে ধরেছেন চিকিৎসকরা।
আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সমাবেশ থেকে বিএমডিসি কর্তৃক ম্যাটস, ডিএমএফ ও টুএমপি পাশ করা এবং মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাক্টিশনার হিসেবে বিবেচনা করায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এ ছাড়া নিজেদের অস্তিত্ব ও অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন চিকিৎসকরা।
তারা বলেন, ‘চিকিৎসক ছাড়া অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সাদা অ্যাপ্রোন পরা ও নামের আগে ডাক্তার পদবী লেখার কোনো অধিকার নেই৷’
সমাবেশে সাপ্পোরো মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরুল আমীন বলেন, ‘চিকিৎসক শুধু পরিচয় দেওয়ার বিষয় না, এটা যোগ্যতার বিষয়। যাদের এ যোগ্যতা নেই তারা চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিতেই পারে না। টেকনোলজিস্টরা সহায়ক। তারা কোনোক্রমেই চিকিৎসক না।’
চিকিৎসকরা বলেন, অনেক মেডিকেল কলেজ চিকিৎসকদের বেতন ভাতা দিচ্ছে না। এসব মেডিকেলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে৷ প্রয়োজনে তাদের বন্ধ করে দিতে হবে।
তারা বলেন, ডিপ্লোমাদের জন্য আলাদা কাউন্সিল করতে হবে৷ এ সময় বিএমডিসি অ্যাক্ট পরিবর্তনের দাবি তুলেন তারা। সে পর্যন্ত বিএমডিসিকে নিস্ক্রিয় রাখারও আহ্বান করেন৷
চিকিৎসকদের নয় দফা
১. এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া ডাক্তার পদবী ব্যবহার করা যাবে না।
২. স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ডাক্তার ব্যতিত স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করতে হবে।
৩. ইউনিয়ন পর্যায়ে ডাক্তার দ্বারা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ফার্মেসি ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৫. বেসরকারি চিকিৎসকদের বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে (মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার, সহকারী রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রার)।
৬. অভিজ্ঞতার আলোকে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
৭. বিএমডিসি ব্যতিত ভুল চিকিৎসা কেউ বলার অধিকার কারোর নেই।
৮. বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন/নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।